কামারহাটি কারখানা

উৎপাদন বন্ধ ইন্ডিয়া ফয়েল্‌সে

কোনও সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলেনি। প্রতিদিন খুলছে কারখানার দরজা। আর রোজ সকালে শ্রমিকরা এসে হাজিরা খাতায় সই করেই গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ছেন।আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে কামারহাটির ইন্ডিয়া ফয়েল্‌স কারখানার শ্রমিকরা কাজ বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩০
Share:

কোনও সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলেনি। প্রতিদিন খুলছে কারখানার দরজা। আর রোজ সকালে শ্রমিকরা এসে হাজিরা খাতায় সই করেই গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ছেন।

Advertisement

আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে কামারহাটির ইন্ডিয়া ফয়েল্‌স কারখানার শ্রমিকরা কাজ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু তা নয়। বরং তাঁদের অভিযোগ, কারখানা অচল করতে আজ দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষই। ফলে প্রায় ১৫ মাস মেশিন চালানো যাচ্ছে না। উৎপাদন বন্ধ। শ্রমিকরা রোজ এসে বিকেল পর্যন্ত ঠায় বসে থাকছেন। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ তাঁদের বেতন।

এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার থেকে প্রাক্তন বিধায়ক তথা শ্রমিক সংগঠনের চেয়ারম্যান মদন মিত্রকে পাশে পেয়ে গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন শ্রমিকরা। ৭ দিনের মধ্যে কারখানা চালু না হলে মালিকের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা রাজ্যের সব থানায় এফআইআর করবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মদনবাবু। তবে ইন্ডিয়া ফয়েল্সের কামারহাটি শাখার প্রধান অলোক দাস বলেন, ‘‘সংস্থার ঘাড়ে ঋণের বোঝা। তাই প্রায় ১৫ মাস ধরে এই অচলাবস্থা। ঋণ মেটানোর চেষ্টা চলছে। তার পরে ফের উৎপাদন চালুর পরিকল্পনা হবে।’’

Advertisement

২০১৪-য় ৫০ জনকে সংস্থার দমন শাখায় বদলি করা হলে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকজন স্বেচ্ছাবসর নিলেও ৩০ জন বদলি মানতে রাজি হননি। বিক্ষোভ চলছিল সেই থেকে। এর মধ্যেই মাস ১৫ আগে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হয়। বন্ধ হয় ২২০ জন শ্রমিকের বেতনও। কারখানার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বিমল সাহা বলেন, ‘‘মালিক পক্ষ পরিকল্পনা করেই বিদ্যুৎ কেটেছেন।’’ গত অক্টোবরে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক মালিকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও রফাসূত্র মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন