যোগ্যতা নিয়ে সংশয়, ফের আগ্রহপত্র চাইল টি বোর্ড

ডিমডিমা বাগান কিনতে ইচ্ছুকদের প্রস্তাব বাতিল

উত্তরবঙ্গে ডানকান গোষ্ঠীর ডিমডিমা চা বাগানের পরিচালনভার হস্তান্তরের লক্ষ্যে ইচ্ছুক ক্রেতাদের থেকে আগ্রহপত্র চেয়ে নোটিস দিয়েছিল টি বোর্ড। একাধিক সংস্থা দায়িত্ব নিতে আগ্রহও দেখায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩১
Share:

উত্তরবঙ্গে ডানকান গোষ্ঠীর ডিমডিমা চা বাগানের পরিচালনভার হস্তান্তরের লক্ষ্যে ইচ্ছুক ক্রেতাদের থেকে আগ্রহপত্র চেয়ে নোটিস দিয়েছিল টি বোর্ড। একাধিক সংস্থা দায়িত্ব নিতে আগ্রহও দেখায়। কিন্তু প্রস্তাব খতিয়ে দেখে তার মধ্যে থেকে কোনও ‘যোগ্য’ সংস্থাকে না-পাওয়ায় সেগুলি বাতিল করে বৃহস্পতিবার নতুন করে আগ্রহপত্র চাইল বোর্ড।

Advertisement

ডানকানের ‘সঙ্কটজনক’ সাতটি বাগানের পরিচালনভার অধিগ্রহণ ও তা নতুন কাউকে হস্তান্তরের জন্য জানুয়ারির শেষে টি বোর্ডকে দায়িত্ব দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রক। এ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোরের পাশাপাশি বিষয়টি আদালতেও গড়ায়। ডানকান গোষ্ঠী ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের পরে মামলা এখন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। আদালত জানিয়েছে, তাদের নির্দেশ ছাড়া কোনও বাগান হস্তান্তর করা যাবে না। তবে টি বোর্ড আগ্রহপত্র চাওয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখতে পারবে।

ডিমডিমা বাগানটি ডানকান গোষ্ঠীর শান্তিপাড়া টি সংস্থার অধীন। গোষ্ঠীর অন্য ছ’টি বাগান বিআইএফআরে থাকলেও একমাত্র এটিই তার বাইরে ছিল। ফলে আইনি জটিলতা কম থাকায় ডিমডিমার জন্যই প্রথমে আগ্রহপত্র চায় টি বোর্ড। একাধিক সংস্থা তাতে সাড়া দেয়। কিন্তু বোর্ড সূত্রের খবর, এর মধ্যে কয়েকটি গোড়াতেই যোগ্যতামান পেরোতে পারেনি বলে সেই প্রস্তাবগুলি বাতিল করা হয়েছে। যেগুলি প্রাথমিক শর্ত পূরণ করেছিল, সেগুলির মূল্যায়ন করেন বোর্ড-কর্তারা। কিন্তু সেই পর্বের প্রস্তাবগুলিও যোগ্য বলে মনে হয়নি তাঁদের। তাই শেষে সেগুলিও বাতিল করে দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নতুন করে আগ্রহপত্র চাওয়ার বিজ্ঞপ্তি এ দিন জারি করেছে বোর্ড। যদিও সে বিষয়ে আর কিছু বলা হয়নি। বোর্ড কর্তারাও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। আগামী ১৮ মে-র মধ্যে আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে। তার আগে আগ্রহীদের সঙ্গে আগামী ৫ মে বৈঠক করবেন বোর্ডের কর্তারা। সম্ভাব্য ক্রেতাদের এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে ৯ মে-র মধ্যে তা দাখিল করতে হবে। ১২ মে-র মধ্যে সেই সব প্রশ্নের জবাব দেবে বোর্ড। ১৮ মে বিকেলেই আগ্রহপত্রগুলি খোলা হবে।

যে-সংস্থা নির্বাচিত হবে, আগ্রহপত্রের শর্তে বাগান পরিচালনার দক্ষতা বিচারে তাকে ১.৫ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দিতে হবে। পরিচালনা সন্তোষজনক না-হলে সংস্থাটিকে বাতিলের পাশাপাশি সেই টাকা নিয়ে নেবে বোর্ড। এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে খরচ করবে বাগানের উন্নয়ন তহবিলে। তবে সংস্থাটি যদি ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করে, তা হলে নির্দিষ্ট সময় শেষে তা তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নতুন সংস্থা বাগান পরিচালনের ভার নিয়েও শেষে যদি দায়িত্ব পালন না-করে তা হলে ফের সমস্যার মুখে পড়বেন শ্রমিকেরা। তাই তাঁদের স্বার্থের কথা ভেবেই এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। যদিও যতদিন না যোগ্য কেউ নির্বাচিত হচ্ছে, ততদিন বাগানের শ্রমিকদের দুর্দশা কী ভাবে মিটবে সেটাই এখন প্রশ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন