কারখানার গেটে সশস্ত্র পাহারা থাকলেও চুরি হয়ে যেতে পারে সংস্থার অভ্যন্তরীণ তথ্যভাণ্ডার। সাইবার অপরাধের হাত ধরে এই ঘটনা এখন বিরল নয়। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলানো প্রয়োজন। বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের শিল্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি শীর্ষক সভায় সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে শিল্পমহল ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে তাদের নীতি ঢে়লে সাজার পরামর্শ দিলেন সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্তারা।
পূর্বাঞ্চলের সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভয় কৃষ্ণ ও সিআইএসএফের আইজি (এনইএস সদর) এ এন মহাপাত্রের দাবি, নিছক আগুন বা অন্য কোনও দুর্ঘটনার চেয়েও এখন বড় সমস্যা সাইবার অপরাধ। অথচ এখনও সশস্ত্র পাহারার উপরই মূলত নির্ভর করে সবাই। নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদেরও নতুন ধরনের অপরাধ ও তার মোকাবিলার প্রশিক্ষণ থাকে না। তাঁদের পরামর্শ, সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মী-অফিসারদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। তাই তাঁদের নিয়োগ করার পরামর্শ দেন ওই দুই কর্তা।
এ প্রসঙ্গে মহাপাত্র পরে জানান, ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আগ্রহী হলেও, তথ্য চুরির আশঙ্কায় অনেক সময়েই এ দেশের সংস্থাকে প্রযুক্তি দিতে চায় না বিদেশি সংস্থাগুলি। পড়শি চিনের জন্যই তাদের এই শঙ্কা। অবশ্য মহাপাত্রের দাবি, সরকারি স্তরে এ ধরনের গাঁটছড়ায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের মতো আধা-সামরিক বা সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে রীতিমতো সতর্ক। অন্য দেশকেও তাঁরা সেই বার্তা দিতে চান।