মিস্ত্রির দাবি ওড়ালেন প্রাক্তন টাটা-কর্তারা

চাপান-উতোর অব্যাহত। আইবিএমের কাছে টিসিএস বিক্রির চেষ্টা ও কোরাস কেনা নিয়ে রতন টাটাকে মঙ্গলবারই দুষেছেন সাইরাস মিস্ত্রি। নিজের দাবির সমর্থনে বুধবার নতুন যুক্তি দিলেন মিস্ত্রি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

চাপান-উতোর অব্যাহত।

Advertisement

আইবিএমের কাছে টিসিএস বিক্রির চেষ্টা ও কোরাস কেনা নিয়ে রতন টাটাকে মঙ্গলবারই দুষেছেন সাইরাস মিস্ত্রি। নিজের দাবির সমর্থনে বুধবার নতুন যুক্তি দিলেন মিস্ত্রি। তবে মিস্ত্রির মন্তব্য এ দিন পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন সে সময়ে ওই দুই সংস্থায় থাকা শীর্ষ কর্তা। টাটা স্টিলও বিবৃতি জারি করে মিস্ত্রির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তার পরই আত্মপক্ষ সমর্থন করে সন্ধ্যায় নতুন বিবৃতি দেয় মিস্ত্রির অফিস। আর, তার মধ্যেই তাঁকে ও নুসলি ওয়াদিয়াকে ডিরেক্টর হিসেবে পরিচালন পর্ষদ থেকে সরাতে টাটা মোটরস শেয়ারহোল্ডারদের ইজিএম ডাকল ২২ ডিসেম্বর।

টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া সাইরাস মিস্ত্রি মঙ্গলবার সরাসরি গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটার দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন, নিজের অহমিকা জাহির করার জন্যই রতন টাটা ২০০৭ সালে ১২০০ কোটি ডলারে অর্থাৎ ‘দ্বিগুণ’ দামে ব্রিটিশ ইস্পাত সংস্থা কোরাস কেনেন। মিস্ত্রির দাবি ছিল, ‘‘এক বছর আগে অর্ধেক দামে সংস্থাটি হাতে নিতে পারতেন রতন টাটা। পরিচালন পর্ষদ ও সংস্থার প্রথম সারির কয়েক জন কর্তা বিষয়টি নিয়ে আপত্তিও তোলেন।’’ বুধবার এ প্রসঙ্গে সে সময়ে টাটা স্টিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি বি মুথুরামনের বক্তব্য জানিয়ে বিবৃতি দেয় টাটা স্টিল। মুথুরামনের দাবি, খুব ভেবেচিন্তেই বিশ্ব বাজার ধরার লক্ষ্যে কোরাস কেনা হয়। টাটা স্টিলের পর্ষদ এতে সায়ও দেয়। মিস্ত্রির পাল্টা দাবি, ‘‘আমি বলিনি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ছিল না। কিন্তু দ্বিমত ছিল, কিছু ক্ষেত্রে আপত্তিও। অল্প দিন আগে কোরাস অর্ধেক দামে কেনার সুযোগ যে-ছিল, সে তথ্য নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না।’’

Advertisement

পাশাপাশি, এক সময়ে আইবিএমের কাছে টিসিএস বিক্রি করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও রতন টাটা নিতে চেয়েছিলেন বলে মঙ্গলবার অভিযোগ আনেন মিস্ত্রি। সময় না-উল্লেখ করে তাঁর দাবি ছিল, আইবিএম-কে রতন টাটা টিসিএস বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। সে সময়ে টিসিএসের রাশ ছিল এফ সি কোহলির হাতে। কোহলি তখন অসুস্থ ছিলেন বলেই বিষয়টি নিয়ে এগোতে চাননি জেআরডি টাটা। বুধবার এ নিয়ে ‘হতবাক ও দুঃখিত’ কোহলির মন্তব্য, হার্ডওয়্যার শিল্পে পা রাখতেই টাটা-আইবিএম যৌথ উদ্যোগ গড়া হয় ১৯৯১-’৯২ সালে। তাঁর দাবি, আইবিএমকে টিসিএস বিক্রির বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনি টাটা গোষ্ঠী। ওই যৌথ উদ্যোগ ভেঙে যায় ১৯৯৯-এ। আর, কোহলি জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন ১৯৮৪-তে। বুধবার মিস্ত্রির পাল্টা দাবি, তিনি কখনওই বলেননি যে, টাটারা আইবিএমকে টিসিএস বিক্রির চেষ্টা করেছিল। জেআরডি টাটার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, ‘টিসিএস বিক্রিতে আগ্রহী ছিলেন রতন টাটা, সার্বিক ভাবে টাটা গোষ্ঠী নয়’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন