Price Hike

খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও যাচ্ছে না চিন্তা

জানুয়ারিতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে ৪.০৬ শতাংশে। যা গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ডিসেম্বরে ছিল ৪.৫৯%।

Advertisement

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

জানুয়ারিতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে ৪.০৬ শতাংশে। যা গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ডিসেম্বরে ছিল ৪.৫৯%। আর গত বছরের জানুয়ারিতে ৭.৫৯%। মূল্যবৃদ্ধির হার কমা সাধারণ মানুষের কাছে এক দিকে যেমন ভাল, অন্য দিকে খারাপও। প্রথমত, জিনিসের দাম বাড়ার গতি কমুক, সেটা কে না চান? বিশেষত এখনকার বাজারে যখন মানুষের রুজি-রোজগার নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কিন্তু তেমনই আবার মূল্যবৃদ্ধি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশের (+/-২%) লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলে আশঙ্কা থাকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক হয়তো অর্থনীতিতে গতি আনতে সুদ কমানোর পথে হাঁটবে। এতে শিল্প ও শেয়ার বাজার খুশি হয় ঠিকই। কিন্তু একই সঙ্গে সুদের হার কমে বিভিন্ন জমা প্রকল্পেও। ফলে বিপাকে পড়েন অসংখ্য সাধারণ মানুষ, বিশেষ প্রবীণ নাগরিকেরা।

Advertisement

এমনিতেই গত দু’বছরে ব্যাঙ্ক আমানতে সুদ ৭.৫% থেকে নেমেছে ৫.৫ শতাংশের আশেপাশে। তা কমেছে স্বল্প সঞ্চয়েও। লকডাউনের পরে এপ্রিলে সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিমে সুদ ৮.৬% থেকে নামানো হয়েছিল ৭.৪ শতাংশে। এই কারণে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমতে দেখলে প্রমাদ গোনেন প্রবীণেরা।

এ বার অবশ্য দাম বৃদ্ধির গতি কমেছে মূলত শীতে আনাজের দর অনেক নেমে আসার কারণে। শীতের শেষে তা আবার চড়বে। তা ছাড়া পেট্রল, ডিজেলের দাম লাগামছাড়া হওয়ার কারণে আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা কঠিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অর্থনীতির পক্ষে সুখবর হল ডিসেম্বরে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ১%। যার মধ্যে কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৬% হারে। নভেম্বরে সঙ্কোচনের পরে এই বৃদ্ধি আশা জাগায় যে শিল্প ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে বাজারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে কিছুটা রাশ পড়েছে ঠিকই। কিন্তু পুরোমাত্রায় সংশোধন হতে পারছে না কারণ অনেকে উঁচু বাজারে লাভ ঘরে তুললেও, বহু মানুষ নতুন করে শেয়ার কিনছেনও। দেশে করোনার প্রকোপ কমায় এবং প্রতিষেধক দেওয়া চলতে থাকায় ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মানুষ আশাবাদী। তাই এত উঁচু বাজারে অনেকে লগ্নি করার সাহস পাচ্ছেন।

শেয়ার ভিত্তিক (ইকুইটি) ফান্ডের ক্ষেত্রেও হিসেব বলছে গত তিন মাসে লগ্নিকারীরা ইউনিট বিক্রি করেছেন মোট ৩২,৫৮৭ কোটি টাকার। জানুয়ারিতে ৯২৫৩ কোটির। অথচ গত মাসেই এসআইপি-র মাধ্যমে এই ফান্ডে ঢুকেছে ৮০২৩ কোটি টাকা।

(মতামত ব্যক্তিগত)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement