রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, এই যুক্তিতে পেট্রল, ডিজেলের শুল্ক কমায়নি কেন্দ্র। রবিবার সেই একই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করল রেটিং সংস্থা মুডি’জ। জানাল, রাজকোষ ঘাটতি যাতে মাত্রা না ছাড়ায়, সে জন্য আগে খরচ কমানোর বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে। তার পরে শুল্ক ছাঁটার পথে হাঁটতে হবে। সরকারের দাবি ছিল, প্রতি এক টাকা উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের ফলে রাজস্ব ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াবে ১৩,০০০ কোটি টাকা। তাতে রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা যাবে না। তবে লোকসভা ভোটের আগে খরচ কতটা কমানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত কয়েক মাসে পেট্রল, ডিজেলের চড়া দামের জেরে বিভিন্ন মহল থেকে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটায়ের দাবি উঠেছে। মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, কোনও দেশের ক্রেডিং রেটিং-এর ক্ষেত্রে রাজকোষ ঘাটতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পেট্রোপণ্যের উৎপাদন শুল্ক কমালে, রাজস্ব আদায় কমার সম্ভাবনা। আর ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রায় রাখতে হলে সে ক্ষেত্রে সমান হারে খরচ কমানো জরুরি বলে জানান মুডি’জের কর্তা উইলিয়াম ফস্টার।
উল্লেখ্য, ১৩ বছর পরে ২০১৭ সালে ভারতের রেটিং বাড়িয়েছে মুডি’জ। তখন তাদের দাবি ছিল, বৃদ্ধি ও সংস্কারের হাত ধরে অর্থনীতি ভাল জায়গায় পৌঁছবে। যদিও ফস্টারের দাবি, ভারতের সঙ্গে এক তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশে জিডিপি-র নিরিখে সরকারি ঋণের অনুপাত ৫০%। কিন্তু ভারতে তা ৭০%। ফলে শুল্ক ছাঁটাইয়ের আগে কেন্দ্রকে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান তিনি।
যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের পক্ষে খরচ কমানো আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার উপরে গত অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা সম্ভব হয়নি। সেখানেই এ বারে তা কতটা সফল হবে, বিভিন্ন মহলে সংশয় রয়েছে তা নিয়েও।