কেরোসিনে বাড়তি কমিশনের দাবি উঠেছিল অনেক আগেই। এ বার চাল-গম-চিনির মতো অন্যান্য পণ্যেও কমিশন বাড়ানোর দাবি তুললেন রাজ্যের রেশন ডিলারেরা।
চাল ও গমে রেশন ডিলারেরা এখন প্রতি কুইন্টলে ৫৪ টাকা কমিশন পান। প্রতি কুইন্টল চিনিতে কমিশন দেওয়া হয় ১৩ টাকা। রাজ্যের রেশন ডিলারদের সংগঠনের সভাপতি মিহির দাস সম্প্রতি দাবি করেন, কুইন্টল-পিছু ন্যূনতম ৮৭ টাকা কমিশন না-পেলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছেও এই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কমিশন ছাড়াও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা এবং তাঁদের জন্য বিশেষ মাসিক ভাতারও দাবি পেশ করেছে ওই সংগঠন।
জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান, তিনি ডিলারদের দাবি সমর্থন করেন। কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির জন্যও তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের কাছে কুইন্টল -পিছু অতিরিক্ত ২০ টাকা করে কমিশনের দাবি তোলা উচিত।
ডিলারদের বক্তব্য, কেন্দ্রের জাতীয় খাদ্য সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্প চালু হওয়ার পরে তাঁদের প্রতি কুইন্টলে ৮৭ টাকা কমিশন পাওয়ারই কথা। এই বিষয়ে কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। মিহিরবাবুর অভিযোগ, রাজ্যে যে-ব্যবস্থায় খাদ্য বণ্টন করা হয়, তাতে ডিলারেরা পুরো কমিশন পাচ্ছেন না। কমিশনের একটা অংশ দিয়ে দিতে হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটরদের।
খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ডিলারেরা এখন যে-কমিশন পান, তার ৫০% রাজ্য দেয়। বাকিটা কেন্দ্র। একই সঙ্গে ওই খাদ্যকর্তার দাবি, নানা কারণে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে ডিলারদের কাছে চাল-গম সরবরাহের ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।