মাটি কামড়ে কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক, কমিটি ভাঁড়ারে

সৌজন্য রেখেও অনড়

সৌজন্যে টোল পড়েনি। কিন্তু সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে মাটি কামড়ে ব্যাটিং করল দু’পক্ষই। নিজেদের অবস্থানে যতটা সম্ভব অনড় থাকল কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর যে বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি দড়ি টানাটানি, সেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারের ভাগবাটোয়ারার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার পরামর্শ দিল পর্ষদ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

সৌজন্যে টোল পড়েনি। কিন্তু সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে মাটি কামড়ে ব্যাটিং করল দু’পক্ষই। নিজেদের অবস্থানে যতটা সম্ভব অনড় থাকল কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর যে বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি দড়ি টানাটানি, সেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারের ভাগবাটোয়ারার বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার পরামর্শ দিল পর্ষদ। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিবৃতি অনুযায়ী, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ওই কমিটির সদস্য বাছাই থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়ই যৌথ ভাবে ঠিক করবে কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

২৬ অক্টোবর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টার ইঙ্গিত দিয়ে মন্তব্য করার পর থেকেই তেতো লড়াই চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে। কখনও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তো কখনও আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ— শীর্ষ ব্যাঙ্ককে বিঁধেছে কেন্দ্র। বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযোগ তুলছিল, ভোট ময়দানে ছড়ানোর টাকার খোঁজেই নাকি শীর্ষ ব্যাঙ্কের মতো স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। এ দিনও বৈঠকের আগে টুইটে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল গাঁধী।

এই টানটান আবহে এ দিন মুম্বইয়ে ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে ন’ঘণ্টার। সারা দিন উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। দু’পক্ষের মিটমাটের আশায় ৩০০ পয়েন্টের বেশি উঠেছে সেনসেক্স। আর আলোচনা শেষে দেখা গিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে সামান্য নমনীয়তা দেখিয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের মূল অবস্থানে অনড় থেকেছে দুই পক্ষ।

Advertisement

যা নিয়ে সবচেয়ে দড়ি টানাটানি, সেই ভাঁড়ার ভাগের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত এনবিএফসিগুলিকে নগদ জোগানোর কথা মাথায় রেখেই বাজারে ৮,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জোড়া ধাক্কায় কাবু ছোট-মাঝারি শিল্পকে কিছুটা সুরাহা দিতে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ ঢেলে সাজার ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু আবার ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও এখনই কমাতে রাজি হয়নি শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ধার দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপরে চাপানো বিধিনিষেধও (পিসিএ) এ দিন এক ঝটকায় শিথিল হয়নি। বরং শুধু পরামর্শ এসেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক সৌজন্যটুকু হয়তো ফিরল। কিন্তু তিক্ততার চোরা স্রোত রয়ে গেল কি না, এখন নজর থাকবে সে দিকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন