কৃষিঋণ মকুবের জেরে রাজ্যগুলি লক্ষ্যবিচ্যুত

ঘাটতিতে কাঠগড়ায় জিএসটিও

রাজ্য বাজেটের ভিত্তিতে করা সমীক্ষায় ঘাটতি মাত্রাছাড়া হওয়ার কারণ হিসেবে এ ভাবেই কৃষিঋণ মকুব ও কার্যত তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর দিকে আঙুল তুলল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৭
Share:

রাজকোষ ঘাটতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সতর্কতা।

সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বাধ্যবাধকতা তো আছেই। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলির কোষাগারে চাপ বাড়িয়েছে কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণা। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে জিএসটি আদায় প্রত্যাশার অনেক নীচে থেকে যাওয়ার কারণে। আর এই ত্র্যহস্পর্শেই ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার (৩.১%) মধ্যে বেঁধে রাখা যায়নি। তা তার থেকে টপকে গিয়েছে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। রাজ্য বাজেটের ভিত্তিতে করা সমীক্ষায় ঘাটতি মাত্রাছাড়া হওয়ার কারণ হিসেবে এ ভাবেই কৃষিঋণ মকুব ও কার্যত তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর দিকে আঙুল তুলল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

২০১৪ সালে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা সরকার। পরে সেই দাবি কার্যত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে দেশ জুড়ে। একের পর এক রাজ্যে আন্দোলনে নামেন চাষিরা। সেই দাবির সামনে মাথা নুইয়ে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, কর্নাটক ঋণ মকুবের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়। শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছে, এর ফলে গত অর্থবর্ষে মকুব হওয়া ঋণের অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে জিডিপি-র ০.৩২%। বাজেটে ধরা ছিল ০.২৭%।

সমীক্ষায় হঁশিয়ারি, যে সমস্ত রাজ্য ঋণ মকুবের কথা রেখেছে, পরিকাঠামো তৈরির খাতে তাদের খরচ কমাতে দেখা গিয়েছে। যার অন্যতম ফল হিসেবে মার খেয়েছে সেই সব জায়গার উন্নয়ন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন রাজ্য এ ভাবে ঋণ মকুবের পথে হাঁটায় ধাক্কা খেয়েছে ঋণ শোধের শৃঙ্খলা। নষ্ট হয়েছে এ সংক্রান্ত অভ্যাস, সংস্কৃতি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রবণতা বেড়েছে ধার শোধ না করে তা মকুবের অপেক্ষায় বসে থাকার।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হুঁশিয়ারি

• ২০১৭-১৮ সালে রাজ্যগুলির রাজকোষ ঘাটতি ৩.১ শতাংশে বাঁধার লক্ষ্য থাকলেও তা ছাড়িয়েছে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট।

• এই নিয়ে টানা তিন বছর মোট রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ তারা।

ঘাটতি বাড়ার কারণ

• সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বাধ্যবাধকতা।

• একের পর এক রাজ্যে কৃষিঋণ মকুব করার ঘোষণা।

• জিএসটি কার্যকর হওয়ার জেরে রাজস্বে টান।

রাজ্যগুলির ঘাটতি বাড়ার জন্য জিএসটিকেও কাঠগড়ায় তুলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যাকে নিজেদের সেরা সংস্কার বলে দাবি করে কেন্দ্র। হালেও সে কথা বার বার বলেছেন অরুণ জেটলি। বিরোধীদের অভিযোগ, তড়িঘড়ি তা চালুর জন্যই মার খেয়েছে কর আদায়। তাতে কিছুটা সিলমোহর পড়ল শীর্ষ ব্যাঙ্কের। যদিও তাদের মতে, করটি স্থিতিশীল হলে রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় বাড়বে। আঁটোসাঁটো হবে আর্থিক স্বাস্থ্যও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন