সুপারিশ: বৈঠকে পটেল। শনিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
শেয়ার বাজারে বিপদ আসে কি না, আগামী দিনে সে ব্যাপারে আরবিআই ও সেবি, দুই প্রতিষ্ঠানকেই সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল।
শেয়ার বাজারে সম্প্রতি ধস নামায় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, সেখানে বুদবুদ রয়েছে কি না, তা নিয়ে। আজ বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবি-র শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে পটেল বলেন, শেয়ার সূচক নেমে আসা থেকেই স্পষ্ট বাজার দ্রুত আরও বাঁক নিতে পারে। তবে এখনও তেমন সমস্যা নেই। কারণ, বিশ্ব বাজারের ওঠানামার ধাক্কাই লেগেছে বাজারে।
বাজেটে জেটলি কর্পোরেট সংস্থার ক্ষেত্রে ঋণপত্র বা বন্ড মারফত বাজার থেকে আরও তহবিল সংগ্রহে জোর দিয়েছেন। সেবি চেয়ারম্যান অজয় ত্যাগী বলেন, নথিভুক্ত সংস্থার তহবিলের ২৫% বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়ম তৈরি হবে।
বাজেটে রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার ফলে মূল্যবৃদ্ধি বাড়বে কি না, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভবিষ্যতে সুদ কমাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অশোধিত তেলের দাম আরও বাড়লেই বা কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জেটলির যুক্তি, আগামী বছর রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে। তবে তেলের দাম নিয়ে আগাম বলা সম্ভব নয়। পটেলের যুক্তি, আরবিআই এত দিন সুদ কমালেও ব্যাঙ্কগুলি সব সময়ে সে পথে হাঁটেনি। কিন্তু নোট বাতিলের ফলে সুদ কমেছে। ঋণের পরিমাণ ১১% বৃদ্ধিও সন্তোষজনক।