Reserve Bank of India

১০ বছর ধরে দেশ জুড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ‘পচছে’ ৭৮ হাজার কোটি টাকা! তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়েছে, দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ৭৮ হাজার ২১৩ কোটি টাকার কোনও দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিগত ১০ বছর ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দীর্ঘ দিন লেনদেন বন্ধ থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দাবিহীন বিপুল টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে হাজার হাজার কোটি টাকা ‘বেওয়ারিশ’ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই টাকার দাবিদারদের খুঁজে বার করে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) জানিয়েছে, দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ৭৮ হাজার ২১৩ কোটি টাকার কোনও দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিগত ১০ বছর ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ‘বেওয়ারিশ’ অ্যাকাউন্ট খুঁজে বার করে সেই টাকার বোঝা কমাতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। সেই টাকা প্রকৃত দাবিদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকেই। দাবিহীন আমানত হল সঞ্চয় বা চলতি অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা অথবা মেয়াদি আমানত যা মেয়াদপূর্তির পরে ১০ বছর ধরে দাবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক নয়, বিদেশি ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্কের হাতে থাকা দাবিহীন টাকার হিসাবও রাখে আরবিআই। মূলত সেভিংস এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করার কারণে দাবিহীন আমানতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। মৃত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও নমিনি বা উত্তরাধিকারীরা দাবি না করায় অনেক দাবিহীন টাকা জমেছে ব্যাঙ্কগুলির কাছে। ২০২৪ সালের তুলনায় সেই জমা টাকার পরিমাণ ২৬ শতাংশ বেড়েছে। দাবি না করা আমানত ব্যাঙ্কগুলির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে যায়।

Advertisement

এই সমস্যার সরলীকরণের জন্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটি ‘উদগম’ নামে পোর্টাল খুলেছে। কেন্দ্রীয় পোর্টালের সাহায্যে গ্রাহক সহজেই যে কোনও ব্যাঙ্কে তাঁর পড়ে থাকা আমানতের তথ্য পেতে পারেন। পোর্টালটি চালু হওয়ার পর থেকে, সাড়ে আট লক্ষেরও বেশি ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্মটি ব্যাবহার করেছেন বলে আরবিআই সূত্রে খবর। গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণেই কয়েক হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে মানুষ নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement