RBI monetary policy

সস্তা হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য হার ঘোষণা আরবিআইয়ের

২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরে সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.২ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র। জিনিসপত্রের দাম কমার সম্ভাবনা কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৪২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৪.২ শতাংশ নির্ধারণ করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের মুদ্রা নীতি কমিটির বৈঠকের পর মুদ্রাস্ফীতির হার ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নতু গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র। পাশাপাশি চলতি আর্থিক বছরের সংশোধিত মুদ্রাস্ফীতির হার সংক্রান্ত তথ্যও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৪.৮ শতাংশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সেই সূচক ধরে রাখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয়। ২০২৫ আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার সংশোধন করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ৪.৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে একে ৪.৪ শতাংশ করেছে আরবিআই।

২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস আগে ছিল ৪.৬ শতাংশ। সেটিও কমে ৪.৫ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এর পাশাপাশি ২০২৬ আর্থিক বছরের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছেন আরবিআইয়ের নতুন গভর্নর সঞ্জয়। তাঁর দাবি, ওই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির হার যথাক্রমে চার, ৩.৮ এবং ৪.২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।

Advertisement

এ দিন ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি (কনজ্যু়মার প্রাইস ইনফ্লেশন বা সিপিআই) সম্পর্কে আরবিআইয়ের গভর্নর বলেছেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্কের নীতির জেরে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। মূল মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।’’

আরবিআই গভর্নরের আরও দাবি, চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) খারিফ শস্যের উৎপাদন যথেষ্ট ভাল হয়েছে। ফলে শীতকালীন সব্জির মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। আগামী অর্থবর্ষে রবি ফসলের উৎপাদন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে খাদ্য দ্রব্যের দাম খুব একটা চড়বে না বলেই স্পষ্ট করেছেন তিনি।

তবে এর পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর। তাঁর কথায়, ‘‘তেলের দর হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেলে মুদ্রাস্ফীতির হারে তা প্রভাব ফেলবে। এটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement