নীরবের অস্ত্র ভোঁতা করতে নির্দেশ ব্যাঙ্ককে 

১৩ মার্চ থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই নির্দেশ ১৯৯৯ সালের ফেমা আইন মোতাবেক জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

ছ’বছরে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১,২১৩টি লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) হাসিল করেছিলেন নীরব মোদী। রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির এই ঘোষণার দিনেই তা মঞ্জুর করার উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একই ভাবে রাশ টানল লেটার অব ক্রেডিট (এলওসি) ইস্যু করার উপরেও। ১৩ মার্চ থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই নির্দেশ ১৯৯৯ সালের ফেমা আইন মোতাবেক জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

Advertisement

সাধারণ ভাবে এলওসি এবং এলওইউ মঞ্জুর করার উপরে বাধানিষেধ জারি করলেও, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অবশ্য বলেছে, ২০১৫ সালের ১ জুলাই জারি করা ডিপার্টমেন্ট অব ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন মাস্টার সার্কুলারে উল্লেখ করা শর্তগুলি পূরণ করা হলে, ভারতে আমদানি সংক্রান্ত লেনদেনে এলওসি ও এলওইউ দেওয়া যাবে। উল্লেখ্য, আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত লেনদেন ছাড়াও বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও এলওসি বা এলওইউ মঞ্জুর করে ব্যাঙ্কগুলি।

এলওসি বা এলওইউ মঞ্জুরের সময়ে আমদানিকারীকে দু’টি জিনিস বন্ধক রখতে হয়। প্রথমত, যে পণ্য আমদানি করা হল, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অনুমতি ছাড়া আমদানিকারী বাজরে বিক্রি করতে পারবেন না। একে বলা হয় প্রাইমারি সিকিউরিটি। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা সম পরিমাণ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও বন্ধক (কোল্যাটারাল সিকিউরিটি) রাখতে হয় আমদানিকারীকে। বন্ধকের মূল্য কত হবে, তা নির্ভর করে আমদানিকারীর ঋণ শোধের যোগ্যতা এবং ব্যাঙ্কের সঙ্গে সম্পর্কের উপর।

Advertisement

লেটার অব আন্ডারটেকিং

•ধরা যাক, ভারতের ‘ক’ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে কোনও ব্যবসায়ীর। আছে সেখান থেকে ঋণ নেওয়া সমেত লেনদেনের সম্পর্ক।

•ব্যবসার প্রয়োজনে তিনি চান বিদেশ থেকে কোনও পণ্য আমদানি করতে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক হিসেবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে নিয়ম মেনে কিছু বন্ধক রেখে ‘লেটার অব আন্ডারটেকিং’ বা ‘এলওইউ’ ইস্যু করতে পারে ‘ক’ ব্যাঙ্ক।

•ওই এলওইউ-র ভিত্তিতে বিদেশের ‘খ’ ব্যাঙ্ক থেকে বিদেশি মুদ্রায় পণ্যের দাম পেয়ে যাবেন রফতানিকারী। ‘ক’ ব্যাঙ্ক ‘খ’-কে তা মিটিয়ে দেবে। আর আমদানিকারী টাকা মেটাবেন নিজের ‘ক’ ব্যাঙ্কেই।

•কিন্তু পরে আমদানিকারী নির্দিষ্ট সময়ে সেই ধারের টাকা মেটাতে না পারলে, ওই টাকা তাঁকে ঋণ হিসেবে মঞ্জুর করবে ‘ক’ ব্যাঙ্ক। সেই অনুযায়ী চুক্তি হবে দু’পক্ষের মধ্যে।

লেটার অব ক্রেডিট

• লেটার অব ক্রেডিট বা লেটার অব কম্ফর্ট (এলওসি) অনেকটা একই রকম। তবে তার শর্ত সাধারণত এলওইউ-র তুলনায় কড়া।

এলওসির নিয়ম নির্ধারিত হয় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের প্যারিস সম্মেলনে। কিন্তু এলওইউয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের মধ্যে আলোচনায় চুক্তির শর্ত ঠিক হয়। যা সাধারণত এলওসির থেকে শিথিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন