পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) লেটার অব আন্ডারটেকিংয়ের (এলওইউ) ভিত্তিতে যে সব ব্যাঙ্ক টাকা দিয়েছে, তাদের ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ পিএনবিকে দেওয়া হয়নি বলে জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যদিও, সরকারি এক কর্তার কথায় ৩১ মার্চের মধ্যেই অন্যান্য ব্যাঙ্ককে সমস্ত টাকা ফেরত দেবে পিএনবি। আর তা দেওয়া হবে ব্যাঙ্কের তহবিল থেকেই। বাড়তি মূলধন জোগাতে হবে না।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, পরিচালনায় ত্রুটির কারণেই পিএনবিতে প্রতারণা হয়েছে। ব্যাঙ্কের দু’এক জন কর্মী তা ঘটিয়েছেন। এটা তাদের অভ্যন্তরীন নজরদারির অভাবের জের। পিএনবি-তে লেনদেনে নজরদারির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের দাবি, ত্রুটি সংশোধনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে শনিবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ওই সংগঠনের চেয়ারপার্সন ঊষা অনন্তসুব্রহ্মণ্যন আগে পিএনবির এমডি ছিলেন। বর্তমানে তিনি এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও।
পিএনবির হিসেব পরীক্ষার ব্যাপারে অডিটরদের ভূমিকা দেখা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া। পাশাপাশি, পিএনবি ও এই প্রতারণায় অভিযুক্ত মেহুল চোক্সীর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত। বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি জানিয়েছে, ওই দুই সংস্থার শেয়ার লেনদেন নিয়ে তদন্ত হবে। নীরব মোদী ও চোক্সীর সঙ্গে যে সব সংস্থা শেয়ার লেনদেনে যুক্ত, তাদের সম্পর্কেও তদন্ত করবে তারা।
যে সব ব্যাঙ্ক এলওইউয়ের ভিত্তিতে টাকা দিয়েছে, তাদের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক ১,৩৬০ কোটি টাকা ও ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ১,৯১৫ কোটি মিটিয়েছে বলে দুই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ওই অঙ্ক ২,০০০ কোটি।
অন্য দিকে, প্রতারণার অভিযোগে আরও ৮ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে পিএনবি। এ নিয়ে সাসপেন্ড হওয়া কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮।