অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল জানিয়েছিলেন, দেশের ১.২ লক্ষ ব্যাঙ্ক শাখায় খুঁটিয়ে নজরদারি সম্ভব নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতাও তাঁর হাতে নেই। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্কের ইউনিয়ন তাদের বস্কে চিঠিতে জানিয়ে দিল, নজরদারির সীমাবদ্ধতা আছে বলে তিনি যদি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির রিপোর্টকে ‘ধ্রুব সত্য’ বলে ধরে নেন, তা হলে সেটা কর্তব্যে গাফিলতি ছাড়া কিছু নয়। ব্যাঙ্কগুলির উপর যাতে নজরদারি বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শও দিয়েছে তারা।
অনাদায়ী ঋণের বোঝা বাড়া থেকে শুরু করে নীরব মোদী কাণ্ডের মতো ব্যাঙ্ক জালিয়াতি— সবেতেই আঙুল উঠছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দিকে। এরই মধ্যে গত অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা থেকে মোছা অনুৎপাদক সম্পদ (১.২০ লক্ষ কোটি টাকা) দাঁড়িয়েছে মোট ক্ষতির (৮৫,৩৭০ কোটি টাকা) ১৪০%।
এই অবস্থায় সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন পটেল। এর জন্য চিঠিতে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইউনিয়ন। কিন্তু সেই সঙ্গে তিন দফা সুরক্ষা ব্যবস্থার পক্ষেও সওয়াল করেছে তারা। (১) যে যে জায়গায় ঝুঁকি রয়েছে সেখানে নজরদারি বাড়ানো। (২) বাহ্যিক নজরদারি যেমন চলছে চলুক। (৩) সময়ে-সময়ে ব্যাঙ্কের শাখা পরিদর্শন করতে হবে, যাতে সারা বছরে দেশের সমস্ত অঞ্চলে অন্তত ১০% শাখায় পরিদর্শন চালানো যায়। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্ককে সব সময়ে নজরদারি চালাতে হবে। শুধু বাইরে থেকে পরিদর্শক হিসেবে নয়, সদা সতর্ক প্রহরী হয়ে।’’