মুদ্রা ঋণ নিয়ে হুঁশিয়ারি শীর্ষ ব্যাঙ্কের

মুদ্রা যোজনায় ঋণে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ায় মঙ্গলবার ব্যাঙ্কিং মহলকে সতর্ক করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এম কে জৈন। এই সব ধারে কড়া নজরদারি চালাতে বলেছেন ব্যাঙ্কগুলিকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র।

ছোট শিল্পের জন্য মোদী সরকারের আনা মুদ্রা ঋণ প্রকল্প অনুৎপাদক সম্পদ বাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন। বলেছিলেন, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের নতুন বিপদ হয়ে উঠতে পারে এটি। তাঁর কথা তখন সারবত্তাহীন তকমা দিয়ে উড়িয়ে দেন তৎকালীন অথর্মন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু শেষে রাজনের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।

Advertisement

মুদ্রা যোজনায় ঋণে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ায় মঙ্গলবার ব্যাঙ্কিং মহলকে সতর্ক করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এম কে জৈন। এই সব ধারে কড়া নজরদারি চালাতে বলেছেন ব্যাঙ্কগুলিকে। এমনিতেই অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় কাহিল যারা।

ইতিমধ্যেই ৩.২১ লক্ষ কোটি টাকা পেরিয়েছে মুদ্রা ঋণ। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, ওই যোজনায় অনুৎপাদক সম্পদও ২০১৮-১৯ সালে আগের বছরের থেকে এক লাফে ১২৬% বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যা ছিল ৭২৭৭.৩১ কোটি টাকা, তা-ই পরের বছর বেড়ে হয়েছে ১৬,৪৮১.৪৫ কোটি। রাজন এটা হতে পারে আঁচ করেই বলেছিলেন, এতে ঋণ শোধ না হওয়ার ঝুঁকি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা জরুরি ব্যাঙ্কগুলির।

Advertisement

মুদ্রা যোজনা চালু হয়েছিল ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল। বছর দেড়েক বাদে হয় নোটবন্দি। অনেকেরই অভিযোগ, এতেই মূলত চোট খায় প্রকল্পের লক্ষ্য। কারণ, নোটবন্দিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন ছোট ব্যবসায়ীরাই। নগদের অভাবে ওই ঋণ শোধ করতে হিমশিম খান অনেকে। ব্যাঙ্কগুলিতে বাড়ে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন