পরিবর্তিত এনপিএ নীতি হয়তো মে মাসেই

আরবিআইয়ের আগের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। এ বার নতুন নীতির আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

নয়াদিল্লিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সদর দফতরের সামনে। ফাইল চিত্র।

অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) চিহ্নিত করার জন্য গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) জারি করা নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েছে, তা অসাংবিধানিক। এর পরেই নতুন নীতি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নতুন নীতি তৈরির প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তারা। ওই সূত্রের দাবি, নির্বাচন বিধির আওতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি পড়ে না। সে ক্ষেত্রে নতুন নীতি প্রকাশেও বাধা থাকার কথা নয়। আর সে ক্ষেত্রে আগামী ২৩ মে-র আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তা প্রকাশ করতে পারে বলে খবর।

Advertisement

আরবিআইয়ের আগের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। এ বার নতুন নীতির আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কথা বলা হচ্ছে ব্যাঙ্কের সঙ্গেও। একটি সূত্র জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে পুরনো নির্দেশ পুরোপুরি বাতিল না-করেই তার উপরে ভিত্তি করে নতুন নিয়ম জারি হতে পারে।

এখন ঋণের উপরে সুদ ৯০ দিন মেটানো না-হলে সেই ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যাঙ্ক। এ বার সেই আন্তর্জাতিক প্রথা থেকে সরে আসার চিন্তাভাবনা করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে কোনও ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ তকমা দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ঋণখেলাপি সংস্থাকে ধার শোধের জন্য অতিরিক্ত ৩০-৬০ দিন সময় দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অনেক সময়ে কোনও সংস্থা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা বেশ কিছু সমস্যার জন্য ঋণ শোধ করতে পারে না। সে কথা মাথায় রেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নতুন নিয়ম আনলে তারা উপকৃত হবে। বেশি লাভ হবে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির।

কংগ্রেসের তোপ: কেন্দ্র কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঋণখেলাপিদের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিচ্ছে না, তা নিয়ে তোপ দাগল কংগ্রেস। শুক্রবার এ নিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে শেষ সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েছে, দেশের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, এমন বিষয় ছাড়া তথ্যের অধিকার আইনে সব তথ্য জানাতে তারা বাধ্য। তার পরেই রবিবার কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি, ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনেই এই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। তা হলে কেন তারা তা করছে না, প্রশ্ন তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন