রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য।—ছবি রয়টার্স।
স্বাধীনতার প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরজার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের কথায়। পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পর্ষদের বৈঠকে কিছুটা নরম হয়েছিল দু’পক্ষ। শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে কতটা টাকাপয়সা থাকবে তা ঠিক করতে কমিটি গড়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল তারা। কিন্তু বুধবার ফের মুখ খুলে বিরল জানিয়ে দিলেন, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) নগদের জোগানের ব্যাপারে তাঁরা প্রয়োজনে পদক্ষেপ করবেন ঠিকই, কিন্তু সেটা হবে শেষ অস্ত্র।
এ দিন বিরল বলেন, ‘‘চরম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নগদের ব্যবস্থা করতে তৈরি থাকবে। কিন্তু সেটা হবে একেবারে শেষ অস্ত্র। কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন, এখনই সেই প্রয়োজন নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্যবস্থার ফলে দু’মাসে সার্বিক ভাবে তহবিলের সঙ্কট কমেছে। এর ফলে এনবিএফসি এবং এইচএফসিগুলির (হাউজিং ফিনান্স কোম্পানি) হিসেবের খাতা ঠিক করতে সময় ও সুযোগ তৈরি হয়েছে।’’ এরই সঙ্গে যে সমস্ত সংস্থা বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে, তাদের জন্য নতুন বিধি চালু করতে চলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল, ঋণ দেওয়ার জন্য মূলধনের যে অংশ বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঘরে রাখতে হয়, এ দেশে তা আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে বেশি। শীর্ষ ব্যাঙ্কের বক্তব্য, কৃত্রিম ভাবে ধার বাড়ালে আখেরে ঋণগ্রস্ত হবে কর্পোরেট সংস্থাগুলিই। তাতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিরও ক্ষতি।