বাজার খরচের বোঝা কমিয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে নীচে নামল খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। জুনে তা ছুঁয়েছে ১.৫৪%। তবে শিল্পোৎপাদন আরও ঢিমেতালে বাড়ার ছবিই ধরা পড়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে। মে মাসে তা নেমে এসেছে ১.৭ শতাংশে, যার জেরে আগামী মাসের ঋণনীতিতে সুদ কমানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আরও জোরালো সওয়াল করেছে শিল্পমহল। কারণ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকেই গুরুত্ব দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
বুধবার প্রকাশিত জোড়া সরকারি পরিসংখ্যান অর্থনীতি নিয়ে আশা-আশঙ্কার ছবিই তুলে ধরেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন বলেন, ‘‘১.৫৪% ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। সার্বিক ভাবে অর্থনীতি যে স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে, এর থেকেই তা প্রমাণ হচ্ছে।’’
তাঁর দাবি, খুচরো মূল্যবৃদ্ধি হিসেবের জন্য নতুন পর্যায়ে এই সূচক চালু হয় ২০১২ সালে। তার আগে যে-সূচকটির সঙ্গে এর তুলনা টানা যায়, সেটি হল শিল্প শ্রমিকদের জন্য মূল্যবৃদ্ধির সূচক। ওই সূচক অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধি ১.৫৪ শতাংশের কাছাকাছি ছিল ১৯৯৯ সালে ও তারও আগে ১৯৭৮ সালে। নতুন পর্যায়ের সূচক এ বছর জুনের আগে এত নীচে নামেনি বলে জানান তিনি। মে মাসে তা ছিল ২.১৮%, গত বছরের জুনে ৫.৭৭%।
মূলত শাক-সব্জি, ডাল ও দুধ-জাতীয় পণ্যের দাম কমাতেই এত নীচে নেমেছে মূল্যবৃদ্ধি। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুনে খাদ্য সামগ্রীর দাম সরাসরি কমেছে ২.১২%। সব্জির দর কমেছে ১৬.৫৩%। ডাল ও দুধ জাতীয় পণ্য ২১.৯২%।
শিল্প বৃদ্ধির শ্লথগতি অবশ্য অর্থনীতির জন্য এখনও অশনি সঙ্কেত বলে মনে করছে শিল্পমহল। গত বছরের মে মাসে ৮% হারে বেড়েছিল শিল্পোৎপাদন। কল-কারখানা এবং খনি ক্ষেত্রে উৎপাদন ঢিমেতালে বাড়ার জেরেই এ বছর তা নেমে এসেছে ১.৭ শতাংশে।
এর মধ্যে খনি ক্ষেত্রে উৎপাদন সরাসরি কমেছে ০.৯% হারে। কারখানার উৎপাদন বেড়েছে ১.২%। মূলধনী পণ্যের উৎপাদন মে মাসে কমেছে ৩.৯%। ২০১৬-র একই সময়ে তা বেড়েছিল ১৩.৯% হারে।
সব হার শতাংশে | তথ্যসূত্র: পিটিআই