Real Estate (Regulation and Development) Act

আবাসন আইন নিয়ে রাজ্যে সচেতন হওয়ার বার্তা

আবাসন ক্ষেত্রে (ফ্ল্যাট, বাংলো-বাড়ি বা জমির প্লট বিক্রি) চুক্তির খেলাপ নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। ক্রেতারা তোলেন আশ্বাস ও চুক্তি মতো ফ্ল্যাট না পাওয়া বা তা হস্তান্তরে দেরি করার মতো অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আবাসন প্রকল্পে চুক্তির খেলাপ হলে (বিক্রেতা বা ক্রেতা, সবার ক্ষেত্রেই) রাজ্যেও এখন ২০১৬ সালে কেন্দ্রের তৈরি আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন রেরা-র আওতায় সমাধান চাওয়া যায়। এর সদ্ব্যবহার করতে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলের সচেতনতা বাড়াতে চাইছেন রেরা কর্তৃপক্ষ। তাই বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে শুরু করেছেন বৈঠক। বার্তা দিচ্ছেন, যোগ্য আবাসন প্রকল্পগুলির রেরায় নথিভুক্তি নিশ্চিত করার। সে জন্য প্রকল্পের নির্মাণ শেষ হওয়ার পরে পুরসভাগুলিকে নথিভুক্তি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত ছাড়পত্র (কমপ্লিশন সার্টিফিকেট বা সিসি) দিতে বলছেন তাঁরা।

Advertisement

আবাসন ক্ষেত্রে (ফ্ল্যাট, বাংলো-বাড়ি বা জমির প্লট বিক্রি) চুক্তির খেলাপ নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। ক্রেতারা তোলেন আশ্বাস ও চুক্তি মতো ফ্ল্যাট না পাওয়া বা তা হস্তান্তরে দেরি করার মতো অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতার বিরুদ্ধেও চুক্তির খেলাপের নালিশ করে ফ্ল্যাট নির্মাতা ও বিক্রেতারা। সূত্রের খবর, গত বছরের ৩১ জানুয়ারির পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ রেরায় ৯৫০-টিরও বেশি প্রকল্প নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র জানাচ্ছে, পুরসভাগুলিই যেহেতু আবাসনের নকশা অনুমোদন করে, তাই তাদের আইনটির খুঁটিনাটি জানাতে কর্মশালা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলির বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে বর্ধমানে সেই শিবির বসে। আগেই কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কর্মশালা হয়েছে। রাজ্যে রেরায় নথিভুক্তির ন্যূনতম সীমা এখন তিন কাঠা বা তার বেশি জমি অথবা ছ’টি বা তার বেশি ফ্ল্যাটের আবাসনের ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন