বিশ্ব বাজারে বাড়ছে ডলারের দাম। আর তার জেরেই চাপের মুখে টাকা। বুধবারই তা ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে ১০ পয়সা। আর বৃহস্পতিবার সকালের দিকে টাকার দর নেমেছে ১৩ পয়সা। প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৬.৭২ টাকায়। গত দু’বছরে এই প্রথম এত নীচে নামল টাকার দাম। এর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ বার ডলার হয়েছিল ৬৭ টাকা। ২০১৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টাকার দাম পড়েছে ৫.৩৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তা ফের স্পষ্ট জানিয়েছেন ফেড রিজার্ভ চেয়ার জেনেট ইয়ালেন। ফলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঋণনীতিতে তাদের সুদ বাড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। এই আশায় ছ’টি মুদ্রার সাপেক্ষে ডলারের দামের সূচক দাঁড়িয়েছে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে ইউরোর পতনের জের পড়েছে টাকার দামের উপর। আগামী কয়েক দিনে ডলারের দর ৬৮ টাকা ছাড়াতে পারে বলেও ধারণা তাঁদের।
তবে ২০১৩ সালে দেশে যে আর্থিক পরিস্থিতি ছিল, তার তুলনায় অবস্থা এখন অনেকটাই ভাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দু’বছর আগে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমা, রাজকোষ ঘাটতি এবং চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতি লাগামছাড়া হওয়ার প্রভাব পড়েছিল টাকার দামে। এখন এই দুই ঘাটতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বরং এ বার আমদানিকারীদের চাহিদা এবং বিশ্ব বাজারের গতিবিধিই এই পতনের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই অবস্থায় আগামী বছরের দিকেই তাকিয়ে সব মহল। কারণ সেই সময়ে ফের বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের বাজারে ফিরতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে তখন ফের টাকার দাম বাড়বে বলে তাঁদের আশা।