দেড় বছরে সর্বোচ্চ টাকা

এক দিকে আমেরিকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতিকে ঘিরে সমস্যা, অন্য দিকে দেশে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দরে বড় মাপের পতন, এই দুইয়ের প্রভাবে সোমবার নামল সূচক। তবে শেয়ার বাজার পড়লেও বড় মাপের উত্থান হয়েছে টাকার দামে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০২:৫১
Share:

এক দিকে আমেরিকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতিকে ঘিরে সমস্যা, অন্য দিকে দেশে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দরে বড় মাপের পতন, এই দুইয়ের প্রভাবে সোমবার নামল সূচক। তবে শেয়ার বাজার পড়লেও বড় মাপের উত্থান হয়েছে টাকার দামে। ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে টাকার দাম গত প্রায় দেড় বছরে বা ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় উঠে গিয়েছে।

Advertisement

সোমবার সেনসেক্স পড়েছে ১৮৪.২৫ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক দাঁড়ায় ২৯,২৩৭.১৫ অঙ্কে। পাশাপাশি নিফ্‌টি আগের দিনের থেকে ৬২.৮০ পয়েন্ট পড়ে শেষ হয় ৯,০৪৫.২০ অঙ্কে।

এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম এক লাফে বে়ড়ে যায় ৩৭ পয়সা। যার ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৫.০৪ টাকা।

Advertisement

ডলারের দাম যে-শুধু ভারতে পড়েছে, তা নয়। বিশ্ব জুড়েই পড়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পছন্দের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিলটি পাশ করাতে পারেননি। এর ফলে ট্রাম্প দেশের আর্থিক নীতিগুলি কতটা বাস্তবায়িত করতে পারবেন, তা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সংশ্লিষ্ট মহলে আশঙ্কা, এর জেরে ব্যাহত হতে পারে আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধি। তার বিরূপ প্রভাবই পড়েছে মার্কিন মুদ্রার দামে।

এ দিকে, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের দাম এই দিন ২.৭৬ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি এক নির্দেশ জারি করে বলেছে, আরআইএল বা তার কোনও সহযোগী সংস্থা আগামী এক বছর ডেরিভেটিভ লেনদেনে অংশ নিতে পারবে না। সেবি-র এই নির্দেশের জেরে এ দিন সংস্থার শেয়ার দর হু হু করে পড়ে য়ায়।

অবশ্য এ দিন সব থেকে বেশি হারে পড়েছে টাটা স্টিলের শেয়ার দর। দেশে ইস্পাত তৈরির ওই অগ্রণী সংস্থার শেয়ারের দাম পড়ে যায় ৩.১৫%। অন্য যে-সব সংস্থার দর এ দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে পড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ওএনজিসি, গেইল, টাটা মোটরস, হিরোমোটোকর্প ইত্যাদি। পড়েছে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ারও। ডলারের দাম পড়ে যাওয়াই ওই সংস্থাগুলির শেয়ারের দরে পতনের কারণ বলে এ দিন বাজার সূত্রের খবর।

বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার কেনা কিন্তু অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার এবং এই দিন মিলে ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কিনেছে।

তবে বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার কিনলেও ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি টানা বিক্রি করে চলেছে।
এই দিনও ওই সব সংস্থা প্রায় ৫০০ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে বলে বাজার সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন