শহর থেকে সরছে স্টেট ব্যাঙ্কের হিসেবের কাজও

দফতরটি সরানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজের সুবিধার জন্যই দফতরটি মুম্বইয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৯
Share:

২০০০ সালে কলকাতা থেকে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার (ডিলিং) কাজ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। এ বার ফের কোপ পড়ল ব্যাঙ্কটির বেঙ্গল সার্কেলের কাজে। এ দফায় কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের কেন্দ্রীয় হিসেব দফতরের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কর্মীদের একাংশ মনে করিয়ে দিয়েছেন, এর আগে সংস্থার সংগ্রহশালা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্মীদের বাধায় তখন তা করা যায়নি।

Advertisement

কেন্দ্রীয় হিসেব দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন সংস্থার কর্মী এবং অফিসারেরা। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কের কলকাতা সদর দফতরের সামনে দিনভর বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দফতরটি সরানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজের সুবিধার জন্যই দফতরটি মুম্বইয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্টেট ব্যাঙ্কের স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ খান এবং অফিসার্স অ্যাসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় হিসেব দফতরটি মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করছি। আমাদের প্রতিবাদে কর্তৃপক্ষ কান না দিলে বড় মাপের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা।’’

Advertisement

১৯২৮ সাল থেকে কলকাতার ওই দফতরেই স্টেট ব্যাঙ্কের বার্ষিক হিসেব তৈরি করা হত। অডিটের পরে ব্যালান্স শিট স্বাক্ষরের কাজও হত এখান থেকেই। চলতি অর্থবর্ষ থেকেই সেই কাজ কলকাতায় করছেন না কর্তৃপক্ষ। বার্ষিক হিসেব ছাড়াও কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, পেনশন-সহ আরও বিভিন্ন ধরনের হিসেবের কাজ সারা হয় ওই দফতর থেকেই।

সিদ্ধার্থবাবু জানান, ২০১১ সালে কলকাতা থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের সংগ্রহশালাটি হায়দরাবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। ব্যাঙ্কের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত বহু নথি সেই সংগ্রহশালায় রয়েছে। কিন্তু তখন সেই চেষ্টা আটকে দিয়েছিল ইউনিয়ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন