Share Market

Share Market: ছ’দিনে ২৬৫৬ পয়েন্ট উত্থান, আবার ৫৬ হাজারে সেনসেক্স

আর্থিক বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতে শেয়ার বিক্রির গতি আগের মাসের থেকে কমেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৫
Share:

লগ্নিকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে ফের ৫৬ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়ল সেনসেক্স। টানা ছ’দিনে উত্থান মোট ২৬৫৬ পয়েন্ট। শুক্রবার উঠল প্রায় ৩৯০। বেড়েছে নিফ্‌টিও। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক’দিন ধরে বিশ্ব বাজারের চাঙ্গা ভাব ভারতের সূচককেও ঊর্ধ্বমুখী রেখেছে। আর একটি কারণ, সামান্য হলেও বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির একাংশের পুঁজি নিয়ে ফিরে আসা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক লাগাতার এ দেশের বাজারে শেয়ার বিক্রি করে যাচ্ছিল তারা।

Advertisement

তবে সূচক এ দিন উঠলেও, টানা চার দিন ৪৭১২.৭৪ কোটি টাকা লগ্নি করার পরে শুক্রবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ৬৭৫.৪৫ কোটির শেয়ার বেচেছে। তবে বাজার মহলের আশা, এই পুঁজি ধারাবাহিক ভাবে ফিরতে থাকলে সূচক ধীরে ধীরে চাঙ্গা হবে।

যদিও অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি ও সুদবৃদ্ধির আবহে সূচকের দৌড় সাময়িক কি না, সেই ধন্দও বহাল লগ্নিকারীদর মধ্যে। একাংশের প্রশ্ন, দেশের অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি? সেটা হলে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে, নয়তো নয়। মোতিলাল অসওয়ালের গবেষণা বিভাগের অন্যতম কর্তা সিদ্ধার্থ খেমকার দাবি, সূচক ওঠার অন্যতম কারণ এপ্রিল-জুনে বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক ফল প্রত্যাশার চেয়ে ভাল হওয়া।

Advertisement

আর্থিক বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতে শেয়ার বিক্রির গতি আগের মাসের থেকে কমেছে। এটা বাজারের পক্ষে ইতিবাচক দিক। এ ছাড়া, বিশ্ব জুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম কমার আশাও তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাশিয়া এবং ইউক্রেন এ দিন তুরস্ক ও রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে আলাদা ভাবে চুক্তি সই করেছে। যা ইউক্রেনের শস্য এবং রাশিয়ার শস্য ও সার রফতানির পথ খুলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই মুহূর্তে যেগুলির জোগান অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে যুদ্ধজনিত স্থবিরতা কেটেছে, যা সর্বত্র খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিল। এমন ঘটনা শেয়ার বাজারকে তো চাঙ্গা করবেই।’’

তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, মূল্যবৃদ্ধির উপরে রাশ টানতে আগামী দিনে আমেরিকা ও ভারতে সুদের হার আরও বাড়তে পারে। ফলে আশঙ্কা থাকছেই। কারণ, সুদ বৃদ্ধি আখেরে আর্থিক বৃদ্ধিকে ধাক্কা দিতে পারে। যদিও কোটাক সিকিউরিটিজ়ের কারিগরি গবেষণা বিভাগের ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল আঠাওয়ালের বক্তব্য, আমেরিকা ও ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক আগ্রাসী ভাবে সুদ বাড়াতে পারে ভেবে লগ্নিকারীদের মধ্যে যে আশঙ্কা কাজ করছিল, তা অনেকটাই গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। যা লগ্নিকারীদের ভাল শেয়ার কেনার জায়গা করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশ্ব বাজারে কিছুটা কমে আসা অশোধিত তেলের দাম (ব্যারেলে ১০৩ ডলার) এবং বিদেশি লগ্নি ফেরার প্রভাব তো আছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন