এখন ২৪ হাজারের ঘর থেকে দূরত্ব আর মাত্র ২০০ পয়েন্টের মতো। শুক্রবার এক ধাক্কায় প্রায় ৫৬৩ পয়েন্ট পড়ার ফলে এমনই উদ্বেগজক জায়গায় নামল সেনসেক্স (২৫,২০১.৯০ অঙ্ক)। গত এক বছরের বেশি সময়ে যা সবচেয়ে কম। বাজার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের সুদ বাড়ানোর সম্ভাবনা জোরালো হওয়াই এর কারণ। এ দিন ডলারের সাপেক্ষে ২২ পয়সা পড়েছে টাকার দামও। এক ডলার হয়েছে ৬৬.৪৬ টাকা।
আমেরিকার শ্রম দফতর শুক্রবার জানায়, অগস্টে তাদের কর্মসংস্থান কিছুটা মন্থর হয়েছে। তবে বেকারত্বের হার নেমেছে প্রায় সাড়ে সাত বছরের মধ্যে সব থেকে নীচে। বেড়েছে মজুরিও। যা সে দেশের আর্থিক অবস্থা উন্নতিরই ইঙ্গিত। এই অবস্থায় ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরেই সুদ বাড়াতে পারে বলে ফের জল্পনা শুরু হয় মূলধনী বাজারে। লগ্নিকারীদের আশঙ্কা, জল্পনা সত্যি হলে, বিশ্বের বর্তমান অনিশ্চিত আর্থিক পরিস্থিতিতে আমেরিকার মতো উন্নত দেশের ব্যাঙ্কে ঝুঁকিহীন আমানত বা বিভিন্ন ধরনের ঋণপত্রই লগ্নিকারীদের কাছে বিনিয়োগের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠবে। বিশেষ করে তুলনায় বেশি উন্নত ওই অর্থনীতি শোধরানোর ইঙ্গিত পেয়ে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারত থেকে লগ্নি গুটিয়ে মার্কিন মুলুকে পুঁজি ঢালতে আরও বেশি উৎসাহী হতে পারে বলেই মনে করছে সকলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ জন্যই দাম মোটামুটি ভাল থাকতে থাকতে হাতের শেয়ার বেচে লাভ তুলে নিতে চাইছেন লগ্নিকারীরা। আর এই প্রবণতাই টেনে নামাচ্ছে সূচককে। শুধু ভারত নয়, এ দিন বিশ্বের প্রায় সব শেয়ার বাজারই ছিল নিম্নমুখী।
এ দিকে, বাজার সূত্রে খবর, এমনিতেই সারা বিশ্বে ডলারের দাম বাড়ছে। তার উপর তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে ভারতে শেয়ার বাজারের পতন। কারণ, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি এ দেশে শেয়ার বেচে পাওয়া টাকা ডলারে পরিণত করেই বিদেশে নিয়ে যায়। হালে তারা ভারতে টানা শেয়ার বেচছে। ফলে চাহিদা বাড়ায় দাম উঠছে ডলারের।