পি-নোট নিয়ে কড়া বিধি, আতঙ্কে বাজার

ফের পতনের কবলে শেয়ার বাজার। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি পড়ল সেনসেক্স। ৩০৫ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়াল ২৫,৩৯৯.৭২ পয়েন্টে। নিফ্‌টিও ৮৬.৭৫ পয়েন্ট পড়ে এ দিন নেমেছে ৭৮০০ পয়েন্টের নীচে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৬ ০১:৫৭
Share:

ফের পতনের কবলে শেয়ার বাজার। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি পড়ল সেনসেক্স। ৩০৫ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়াল ২৫,৩৯৯.৭২ পয়েন্টে। নিফ্‌টিও ৮৬.৭৫ পয়েন্ট পড়ে এ দিন নেমেছে ৭৮০০ পয়েন্টের নীচে। শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নি টানার অন্যতম মাধ্যম পার্টিসিপেটরি নোট (পি-নোট) নিয়ে সেবি কড়া বিধি আনার কথা জানানোর জেরেই এ দিন মন্দার কবলে পড়ে বাজার। এ নিয়ে চূড়ান্ত বিধিও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সেবি। তবে বাজার বন্ধের পরে তা ঘোষিত হওয়ায় আগামী কালও এর প্রভাব সূচকের উপর পড়বে বলে ইঙ্গিত দেন লেনদেনকারীরা।

Advertisement

শেয়ার বাজারের পতনের প্রভাব পড়ে বিদেশি মুদ্রার বাজারেও। বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে শেয়ার বেচতে থাকায় বাড়ে ডলারের চাহিদা। ডলারে টাকার দাম এক ধাক্কায় ৩৯ পয়সা নামে। এক ডলার হয় ৬৭.৩৬ টাকা। এই নিয়ে গত ছ’দিনে ডলারে টাকা পড়ল ৮০ পয়সা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দিন পি-নোট নিয়ে সেবি-র কড়াকড়ির আশঙ্কা ছাড়াও মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের তরফে জুনে সুদ আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত টেনে নামায় সূচককে। কারণ, আমেরিকা সুদ বাড়ালেও বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ভারতের বাজার থেকে লগ্নি সরিয়ে স্বদেশে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পি-নোট হল সেই ডেরিভেটিভ, যার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র নিয়মের তোয়াক্কা না-করেও ভারতের শেয়ার বাজারে লগ্নি করতে পারে বিদেশের কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা। এই ব্যবস্থায় ব্রোকারেজ সংস্থার মাধ্যমে পি-নোট কেনে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা। এবং সেই টাকা একত্রিত করে ভারতের বাজারে ঢালে তারা। এ দেশে চালু থাকা কর এর উপর প্রযোজ্য হয় না। এ দিন পি-নোটের উপর নয়া বিধিনিষেধ ঘোষণাও করেছে সেবি। তারা জানিয়েছে, মূলত কালো টাকা ঠেকাতেই এগুলির অপব্যবহার রুখতে চায় সেবি। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ অনুসন্ধান গোষ্ঠীর সুপারিশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত। যার আওতায় কোনও অনিয়ম নজরে এলেই বাধ্যতামূলক ভাবে তা সেবিকে জানাতে হবে পি-নোট ইস্যুকারী সংস্থাকে। পি-নোট যাঁরা কিনেছেন, তাঁদের ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ বা কেওয়াইসি দাখিল করা ছাড়াও প্রতি মাসে সেগুলি হাতবদলের তথ্যও জানাতে হবে সেবি-র কাছে।

টাটা কমের ব্যবসা অধিগ্রহণ। নয়াদিল্লির খবর: ভারত ও সিঙ্গাপুরে টাটা কমিউনিকেশন্সের ডেটা সেন্টার ব্যবসার ৭৪ শতাংশ অংশীদারি হাতে নিল সিঙ্গাপুর টেকনোলজিস টেলিমিডিয়া। এ জন্য ৩,১৫০ কোটি টাকা দেবে তারা। এর মধ্যে রয়েছে ভারতে টাটা কমের ১৪টি ও সিঙ্গাপুরের ৩টি ডেটা সেন্টার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন