—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় বাজেটের পর ফের চাঙ্গা শেয়ার বাজার। সেনসেক্স এবং নিফটি-৫০ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১,৪০০ এবং ৪০০ পয়েন্ট। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিনেই মোটা টাকা লাভের মুখ দেখলেন লগ্নিকারীরা। বাজারের এই ‘বুলিশ ট্রেন্ড’-এর নেপথ্যে একাধিক কারণের উল্লেখ করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ৭৭,৬৮৭.৬০ পয়েন্টে খোলে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)। বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ নিম্নমুখী ছিল স্টকের সূচক। কিন্তু সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের পর থেকে উপরের দিকে চড়তে থাকে সেনসেক্স। দিন শেষে এটি পৌঁছে যায় ৭৮,৫৮৩.৮১ পয়েন্টে।
এদিন মোট ১,৩৯৭.০৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স। অর্থাৎ ১.৮১ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বিএসই। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮,৬৫৮.৫৯ পয়েন্টে উঠেছিল সূচক। অন্য দিকে ২৩,৭৩৯.২৫ পয়েন্টে পৌঁছে দৌড় থামায় নিফটি-৫০। এই বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭৮.২০ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) বেড়েছে ১.৬২।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, এদিন বাজারে পুঁজির অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর জন্য আমেরিকা ও চিনের মধ্যে শুরু হওয়া শুল্ক যুদ্ধকেই দায়ী করেছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেজিঙের পণ্যের উপরে ১০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। পাল্টা আমেরিকার পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে ড্রাগন।
আর্থিক বিশ্লেষকদের অনুমান, আমেরিকা-চিনের শুল্ক যুদ্ধে আগামী কয়েক দিন অস্থির থাকবে বাজার। আর তাই সতর্কতার সঙ্গে লগ্নির পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ দিন ২,৪২৬টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর পড়েছে ১,৩৪৯টি স্টকের। ১৪৪টি শেয়ারের দামের কোনও বদল হয়নি।
মঙ্গলবার নিফটিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাঙ্ক, পরিকাঠামো, শক্তি এবং তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলির শেয়ারের দর দু’শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত গতির ভোগ্যপণ্য বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত ধরনের স্টক সবুজ জ়োনে শেষ করেছে। নিফটিতে মাঝারি ও ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচক বেড়েছে যথাক্রমে ১.৬ এবং এক শতাংশ।
এনএসইতে এদিন সর্বাধিক লাভ করেছেন শ্রীরাম ফিন্যান্স, এলঅ্যান্ডটি, আদানি পোর্টস, ভারত ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইন্ডাসইণ্ড ব্যাঙ্কের শেয়ারে লগ্নিকারীরা। অন্য দিকে লোকসান হয়েছে ট্রেন্ট, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ়, হিরো মোটোকর্প, নেসলে এবং আইশার মোটর্সের বিনিয়োগকারীদের।
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৈঠকে বসবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি। সেখানে রেপো রেটে কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন আরবিআইয়ের নতুন গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্ত বাজারের উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।