Sensex

Sensex: স্থিতিশীলতার বার্তায় উত্থান বহাল সূচকের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে নড়ে যাওয়া ভিতের মেরামতি শুরু হয়েছিল বুথ ফেরত সমীক্ষার সময় থেকেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২২ ০৬:০৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে নড়ে যাওয়া ভিতের মেরামতি শুরু হয়েছিল বুথ ফেরত সমীক্ষার সময় থেকেই। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিতে ফের দৌড় শুরু করে ভারতীয় শেয়ার বাজারের সূচক। লেনদেনের মধ্যবর্তী একটা সময়ে সেনসেক্স ১৫০০ পয়েন্টের বেশি উঠে গেলেও শেষ বেলায় লগ্নিকারীদের মুনাফা ঘরে তোলার চাপে সেখান থেকে সূচকটি কিছুটা নেমে আসে। দিনের শেষে ৮১৭.০৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫,৪৬৪.৩৯ অঙ্কে দৌড় শেষ করে সেনসেক্স। তিন দিনে সূচকটি ২৬২১.৬৪ পয়েন্ট উঠল। পাশাপাশি, এ দিন নিফ্‌টি ২৪৯.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৬,৫৯৪.৯০। তিন দিনের উত্থানে লগ্নিকারীদের ঘরে এল মোট ১০.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা।

Advertisement

এ দিন ডলারের নিরিখে টাকার দরও বেড়েছে। ১ ডলারের দাম ১৯ পয়সা কমে হয়েছে ৭৬.৪৩ টাকা। এই নিয়ে টানা তিন দিন বাড়ল ভারতীয় মুদ্রার দামও।
বাজার বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজি প্রত্যাহারের ফলে গত এক মাসের বেশি সময় ধরেই চাপে রয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার। এর পরে প্রায় অপ্রত্যাশিত ভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বাজার হুড়মুড় করে পড়তে থাকে। যুদ্ধ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কা বাড়তে থাকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের সরবরাহ নিয়ে। তার ফলে বাড়তে বাড়তে একটা সময়ে সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল তার দাম। এরই মধ্যে তেলের সরবরাহ নিয়ে ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি আশ্বাস দেওয়ায় এবং তুরস্কে যুযুধান দুই পক্ষের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ঘিরে কিছুটা আশা তৈরি হওয়ায় তেলের দাম সেই জায়গা থেকে কিছুটা নেমেছে ঠিকই, কিন্তু তা এখনও রয়েছে যথেষ্ট উঁচুতে। তা ফের মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না কেউ। তাঁদের ব্যাখ্যা, এই ধরনের পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার উপরেই নির্ভর করতে চায় বাজার। বিশেষ করে অর্থনীতির উপরে করোনার প্রভাব সংক্রান্ত সংক্রান্ত আশঙ্কা যেখানে এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি। এ দিন সেই স্থিতিশীলতার পক্ষে ‘ইতিবাচক’ ফলাফলের প্রতিক্রিয়াই দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে। এ দফায় বাজারের উত্থান অবশ্য শুরু হয়েছিল পাঁচ রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষার সময় থেকেই। যেখানে কিনা বিজেপির জয়ের সম্ভাবনার কথাই বলা হয়েছিল।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘‘শেয়ারের লগ্নিকারীরা কেন্দ্রে কখনওই দুর্বল সরকার চায় না। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়ের ফলে আগামী দিনে কেন্দ্রে পোক্ত সরকার তৈরির পথ প্রশস্ত হল বলেই তারা মনে করছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, যুদ্ধের ফলে যাতে তেলের ঘাটতি না হয় তার জন্য কয়েকটি তেল রফতানিকারী দেশকে অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা। যা কার্যকর হবে বলেই মনে করছে বাজার। বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে-ও বলছেন, ‘‘গত কয়েক বছরে বেশ কিছু সাহসি সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই সরকারের আরও পোক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধিও চাঙ্গা করেছে বাজারকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন