গত লোকসভা ভোটে মোদী ঝড়ে হিন্দি বলয়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু মঙ্গলবার সেখানকারই দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে সরকার গড়ার মুখে দাঁড়িয়ে তারা। জোর টক্করে এগিয়ে মধ্যপ্রদেশেও। এ দিন যেন এই ফিরে আসারই প্রতিবিম্ব হয়ে রইল সেনসেক্স। দিনের শুরুতে ৫০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে ধস নেমেছিল পায়ের তলার মাটিতে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিনের শেষে তার দৌড় শেষ হল আগের দিনের তুলনায় ১৯০ পয়েন্ট উঁচুতে। দাঁড়াল ৩৫,১৫০.০১ অঙ্কে। নিফ্টিও ৬০.৭০ পয়েন্ট বেড়ে থামে ১০,৫৪৯.১৫-তে।
বহু বিশেষজ্ঞের দাবি, সূচকের এই উত্থানে ধাক্কা খেয়েছে বাজারে প্রচলিত ধারণাও। তা হল, হালফিলে বিজেপি হারলে বা তার আশঙ্কা তৈরি হলে সাধারণত মুখ ভার হয় সূচকের। তাঁদের মতে, এ দিনের উত্থান বোঝায় বাজারের ‘ভোট’ আসলে সব সময়েই স্থিতিশীলতার পক্ষে। তা সে যে দলের হাত ধরেই আসুক না কেন। অবশ্য উল্টো মতও রয়েছে।
দেকো সিরিউরিটিজের কর্ণধার অজিত দে এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের দাবি, বিজেপি যতটা গোহারা হবে মনে করা হয়েছিল, তা না হওয়াতেই এ দিন খুশি দেখিয়েছে বাজারকে।
ওঠা-পড়া
• বাজার খোলার পরেই সেনসেক্স নেমে গিয়েছিল ৫২১ অঙ্ক। সেখান থেকে দিনের শেষে দৌড় শেষ ১৯০.২৯ পয়েন্ট উঠে।
বাজারে আশঙ্কা
• রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে উর্জিত পটেলের ইস্তফার পরে তার স্বাধীনতা বজায় থাকবে তো?
• পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিজেপির নাস্তানাবুদ হওয়ার আশঙ্কা।
• ভারতে বাজার খোলার আগেই সিঙ্গাপুরে এসজিএক্স নিফ্টির পতন। সঙ্গে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি।
উত্থান-বটিকা
• আশঙ্কার তুলনায় বিজেপির ফল কিছুটা কম খারাপ হওয়া।
• নতুন গভর্নরের জমানায় নগদ জোগানের সমস্যা কমার আশা।
• প়ড়তি বাজারে লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনা।
• ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির পুঁজি ঢালা।
• ইউরোপ, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শেয়ার সূচকগুলির চাঙ্গা থাকা।
ডলারে টাকার পতন: মঙ্গলবার ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দামও। এ দিন ৫৩ পয়সা উঠে মার্কিন মুদ্রাটির দর পৌঁছেছে ৭১.৮৫ টাকায়। তবে দিনের এক সময়ে তা বেড়ে গিয়েছিল ১১০ পয়সা।