সপ্তাহ শেষে প্রত্যক্ষ কর আদায়ও কিছু বেড়েছে।
মাঝে মধ্যে উঠলেও অনিশ্চয়তা আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে বাজারকে। এর প্রমাণ দিয়ে গত সপ্তাহে বড় পতন দেখেছে বাজার। একেবারে শেষে গিয়ে কিছুটা লাভ এসেছে ঝুলিতে। আর এই ওঠানামার খেলায় সপ্তাহভরের হিসেবে সেনসেক্স খুইয়েছে মোট ৫২১ পয়েন্ট। থিতু হয়েছে ৩৫,৬৭৩ অঙ্কে। নিফ্টি শুক্রবার লেনদেন শেষ করেছে ১০,৬৯৪ পয়েন্টে। ঘরে বাইরে নানা খবর অস্থির রেখেছে লগ্নিকারীদের। সেই তালিকার রয়েছে—
• আমদানি খরচ নাগাড়ে বাড়তে থাকায় চওড়া হওয়া চলতি খাতে ঘাটতি। জুলাই-সেপ্টেম্বরে যা পৌঁছেছে ১,৯১০ কোটি ডলারে (জাতীয় উৎপাদনের ২.৯%)। আগের বছর একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১,৫৯০ কোটি (জাতীয় উৎপাদনের ২.৪%)।
• তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেক ও তার বাইরে থাকা সহযোগীদের উৎপাদন ছাঁটার সিদ্ধান্ত এবং তার জেরে ফের বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি। এতে ডলারে টাকার দামও নামছে আবার। ডলার পৌঁছে গিয়েছে ৭০.৭৮ টাকায়।
• চিন-মার্কিন সন্ধির আকাশে ফের অনিশ্চয়তার মেঘ।
• ঋণনীতিতে আরবিআইয়ের সুদ অপরিবর্তিত রাখা। বৃদ্ধির জন্য যে হার কমানোকে জরুরি বলে মনে করে শিল্প ও বাজার।
• নভেম্বরে জিএসটি আদায় কমা।
• মূল্যায়ন সংস্থা ফিচের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশে নামানো।
• ভোটের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণনীতিতে ভবিষ্যতে সুদ কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভও আপাতত মুলতুবি রেখেছে সুদ বাড়ানো। সপ্তাহ শেষে এই বিষয়গুলি সূচককে কিছুটা ঠেলে তোলে। তা ছাড়া, প্রত্যক্ষ কর আদায়ও কিছু বেড়েছে।
মঙ্গলবার জানা যাবে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল। এখন সে দিকেই তাকিয়ে লগ্নিকারীরা। লক্ষ্য রাখছেন চিন-মার্কিন সন্ধির দিকেও।
এ দিকে, সেবি-র নির্দেশ ছিল, ৫ ডিসেম্বরের পরে শুধু ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নথিবদ্ধ শেয়ারের হস্তান্তর করা যাবে। গত সপ্তাহে তারা জানিয়েছে তা করতে হবে ১ এপ্রিল থেকে।
(মতামত ব্যক্তিগত)