ফের শেয়ার বাজারের পট বদল রাজনৈতিক মন্তব্যে।
সোমবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, কর ফাঁকি না-দেওয়ার জন্য উৎসাহ জোগাতে ও আয়করের আওতায় আরও বেশি মানুষকে আনতে করের হার কমানো দরকার। আর সেই মন্তব্যে করছাড়ের ইঙ্গিত পেয়েই মঙ্গলবার চাঙ্গা হল সূচক। সেনসেক্স এক লাফে বাড়ল ৪০৬.৩৪ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৬,২১৩.৪৪ অঙ্কে। নিফ্টি ১২৪.৬০ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হল ৮,০৩২.৮৫ অঙ্কে। তবে ডলারে টাকার দাম এ দিন পড়েছে ৩২ পয়সা। ডলার হয়েছে ৬৮.০৬ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, সূচকের ওঠা-নামা স্থির করার মতো রসদ এখন অর্থনীতিতে তেমন নেই। বরং বাজার পরিচালনায় বড় ভূমিকা নিচ্ছে রাজনৈতিক মন্তব্য। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর এক মন্তব্য থেকে শেয়ার লেনদেনে দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভের উপর করছাড় উঠে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়ায় সোমবারই বেশ খানিকটা নেমেছিল সূচক।
দেশি-বিদেশি সংস্থার বিনিয়োগও বাজার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে, জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। আগের দিন ১০৯৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করলেও এ দিন বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি তাদের বিক্রি ৭১২ কোটি টাকার মধ্যেই ধরে রেখেছিল। অন্য দিকে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি অনিশ্চিত বাজারেও টানা শেয়ার কিনে চলেছে। গত দু’দিনের লেনদেনে তারা আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার কিনেছে। মঙ্গলবার কিনেছে ১৫০০ কোটির।
তবে এই উত্থানকে বাজারের ঘুরে দাঁড়ানো বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, ‘‘এই উত্থান স্থায়ী হবে না। সকলেই এখন তাকিয়ে বাজেটের দিকে। সেখানে লগ্নিকে উৎসাহ দেওয়ার প্রস্তাব থাকলে সূচকের লম্বা দৌড় শুরুর সম্ভাবনা।’’