Sensex

এক দিনেই মুছল ৪.৫৫ লক্ষ কোটি

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজার পড়ার অন্যতম তাৎক্ষনিক কারণ ফের ভারত-চিন সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফের লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার আগ্রাসী হানায় উত্তপ্ত ভারতের সীমান্ত। বাজারে নগদ লেনদেনে মার্জিনের টাকা জমা দেওযার নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের রক্তচাপ বৃদ্ধি। আর চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ঠিক কতখানি সঙ্কুচিত হতে পারে তাই নিয়ে জল্পনা ও আশঙ্কা (২৩.৯% সঙ্কোচনের সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে বাজার বন্ধ হওয়ার পরে)। এই ত্র্যহস্পর্শে একটানা ছদিন ওঠার পরে সোমবার মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার। সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনেই ধস নামল বাজারে। সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ে গেল ৮৩৯.০২ পয়েন্ট। নিফ্‌টি হারাল ২৬০.১০ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময় ওই দুই সূচক এসে দাঁড়ায় ৩৮,৬২৮.২৯ এবং ১১,৩৮৭.৫০ অঙ্কে। যার হাত ধরে এক দিনেই লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ৪.৫৫ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।

Advertisement

অর্থনীতি সঙ্কটে থাকার হাজারো চিহ্ন চোখের সামনে মজুত থাকলেও, নাগাড়ে চড়ছিল বাজার। যে কারণে বিশেষজ্ঞেরা যে কোনও দিন বিরাট মাপের পতনের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এ দিন সেটাই হয়েছে বলে দাবি বাজার মহলের।

যদিও এ দিন প্রথমে বাজার উঠছিল। লেনদেনের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে পতন শুরু হয়। সূচক যেখানে উঠেছিল সেখান থেকে দিনের শেষে ১৬০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে বাজার সংশোধন ছাড়াই টানা বেড়েছে। তাই এটা হওয়ারই কথা ছিল।

Advertisement

এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও পড়েছে। এক ডলার আগের দিনের থেকে ২১ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৩.৬০ টাকা। মূল্যায়ন সংস্থা কেয়ার রেটিংসের রিপোর্টের দাবি, ডলারের দাম আপাতত ৭৩.৫০ থেকে ৭৪ টাকার মধ্যেই ঘুরবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজার পড়ার অন্যতম তাৎক্ষনিক কারণ ফের ভারত-চিন সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। বিশেষ করে আতঙ্কিত বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। বেশ কিছু দিন ধরে ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে টানা পুঁজি ঢেলে যাচ্ছে এই আশায় যে, করোনার প্রকোপ কমলে ভারতীয় অর্থনীতির চাকা গড়াবে অন্য অনেক দেশের থেকে দ্রুত। অগস্টে তারা ঢেলেছে ৪৫,০০০ কোটি টাকা। সেই সংস্থাগুলিই এ দিন ৩৩৯৫.৪৯ কোটি লগ্নি তুলে নিয়েছে।

একাংশ অবশ্য মনে করছে, এখন থেকে আগাম লেনদেনের মতো নগদে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রেও লগ্নিকারীদের মার্জিন মানি জমা দেওয়ার যে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে। কারণ, এই নিয়মে সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। এত দিন ওই টাকা শুধু ব্রোকাররাই জমা দিতেন। এই সব উদ্বেগের সঙ্গে সূচকের পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে দেশের খারাপ আর্থিক হাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন