এটিএম পরিষেবায় পা রাখল শ্রেয়ী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিনান্স। সম্প্রতি তারা কৃষ্ণনগরে একটি ‘হোয়াইট লেভেল’ এটিএম চালু করেছে। তবে সংস্থার লক্ষ্য, ২০২০ সালের মধ্যে সারা দেশে ৯ হাজার এটিএম চালু করা।
শ্রেয়ীকে নিয়ে দেশে মোট ৮টি সংস্থা ‘হোয়াইট লেভেল’ এটিএম চালু করেছে। এগুলি সীমিত পরিষেবার এটিএম, যাতে টাকা তোলা গেলেও জমা দেওয়া য়ায় না।
দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে-পরিকল্পনা করেছে, তার অঙ্গ হল হোয়াইট লেভেল এটিএম বাড়ানো। তবে টাকা জমা দেওয়া না-গেলেও অধিকাংশ পরিষেবাই তাঁদের এটিএম থেকে মিলবে বলে জানান সংস্থার এটিএম ব্যবসার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনিফার বিষ্ণোই। যেমন, গ্রাহক তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন। যে-গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে, তাঁর ডেবিট কার্ড নম্বর উল্লেখ করেই এই হস্তান্তরের কাজ সারা যাবে। এ ছাড়া মিনি স্টেটমেন্ট পাওয়া যাবে, অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা টাকার অঙ্ক জানা যাবে, নতুন চেকবইয়ের জন্য আবেদন পাঠানো, পিন পরিবর্তন ইত্যাদিও করা যাবে।
জেনিফার জানান, এটিএম ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে শ্রেয়ীর লক্ষ্য ছোট শহর। যে ৯ হাজার এটিএম বসানোর পরিকল্পনা শ্রেয়ী করেছে, তার মধ্যে ৬০৭৫টিই থাকবে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্তরের শহরে। জেনিফার বলেন, ‘‘এই ব্যবসা লাভজনক করে তুলতে পরিচালনার খরচ কমানোর উপর আমরা বিশেষ জোর দেব। ছোট শহরে এই খরচ কম। এ ছাড়া বড় ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা সেখানে এখনও তেমন নেই।’’