—ফাইল চিত্র।
নিউ ইয়র্ক থেকে সিঙ্গাপুরের উড়ান। মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফুট উপরে বিমানের টিভি স্ক্রিনে ফুটে উঠবে দার্জিলিং বা দিঘার ছবি। থাকতে পারে শান্তিনিকেতনও। বিদেশি যাত্রীর সামনে সেই ছবি তুলে ধরে তাঁকে টেনে আনার চেষ্টা করা হবে এই পশ্চিমবঙ্গে। তাতে যেমন লাভ হবে রাজ্যের, তেমনই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সেরও। বিদেশি এই সংস্থার ভারতের জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড লাউ জানান, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই ভাবে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের বিশেষ বিশেষ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ‘শো-কেস’ হিসেবে তুলে ধরা হবে।
ভারতের ১১টি শহর থেকে সপ্তাহে ৮৪টি উড়ান চালায় সিঙ্গাপুর এয়ার। ডেভিড জানান, ভারত থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময়ে বেশিরভাগ উড়ানে গড় যাত্রী হয় ৭৫ শতাংশ। কিন্তু, সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতা বা অন্য শহরে আসার সময়ে যাত্রী কমে যায়। কেন ? সহযোগী সিল্ক এয়ারের ভারতের জেনারেল ম্যানেজার জগদীশ ভোজওয়ানি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে যাত্রী আসা কমেছে। কেরল ছাড়া ভারতের অন্য রাজ্য সে ভাবে বিদেশে পর্যটন নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে না। তাই, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকে সেখানকার মানুষ ভারতে আসার জন্য আকৃষ্ট হচ্ছেন না।’’
এই কারণে গত নভেম্বর মাসে ভারতের প্রতিটি রাজ্য থেকে পর্যটন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জোগাড় করেছে সিঙ্গাপুর এয়ার। ডেভিডের বক্তব্য অনুযায়ী, সেই সব নথি একত্রিত করে দেখা হচ্ছে, ভারতের কোন কোন গন্তব্য তুলে ধরা হবে যাত্রীদের সামনে। ডেভিডের কথায়, ‘‘দূরপাল্লার উড়ানে যাত্রীরা অনেকক্ষণ টিভি দেখেন। সেখানেই আমরা ভারতের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরব। যেমন, চায়ের জন্য দার্জিলিংকে চেনেন বেশিরভাগ যাত্রী। এমনই অনেক জায়গা রয়েছে ভারতে। সেগুলির ছবিই তুলে ধরা হবে। তা দেখে যত মানুষ এই সব জায়গায় বেড়াতে আসবেন, ততই আমাদের লাভ। আমরা যাত্রী পাব।’’ পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়া-তেও প্রচার চালাচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। সেখানেও তুলে ধরা হবে ভারতের এই সব আকর্ষণীয় গন্তব্যু। তবে, এই সব পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডেভিড।
রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর এয়ারের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যে সব সহায়তা চাওয়া হয়েছে, তা দেওয়া হবে বলে এক পর্যটন কর্তা জানিয়েছেন।