এখনও ঢিমেতালেই এগোচ্ছে শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে মার্চে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.১ শতাংশ, যা গত পাঁচ মাসে সবচেয়ে কম। গোটা ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের জন্য শিল্প বৃদ্ধির হারও ২.৮%। পাশাপাশি, শাক-সব্জি, ফল, দুধের দাম কমার হাত ধরে এপ্রিলে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৪.৮৭ শতাংশে। গত চার মাসে এটাই সর্বনিম্ন। শুধু খাদ্যপণ্যের দরই কমেছে ৫.১১%।
বাজারের আগুন অনেকটা নিবে আসায় এবং শিল্পের হাল এখনও না-ফেরায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আরও জোরালো হয়েছে সুদ কমানোর দাবি। অর্থনীতিবিদ ও শিল্পমহলের আশা, চলতি মাসেই বা জুনে ঋণনীতি ফিরে দেখার সময়ে আর এক দফা সুদ ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে চলতি বছরে তৃতীয় দফায় সুদ কমবে।
মার্চে শিল্পোৎপাদন নামমাত্র বাড়লেও অবশ্য কল-কারখানার উৎপাদন (শিল্প বৃদ্ধি হিসাবে যার গুরুত্ব ৭৫%) বেড়েছে ২.২%, যেখানে গত ২০১৪ সালের মার্চে তা সরাসরি কমেছিল ১.৩%। গোটা অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ২.৩%। পাশাপাশি, চাহিদা বাড়ার অন্যতম মাপকাঠি মূলধনী পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে ৭.৬%, যেখানে গত বছর তা এক ধাক্কায় কমেছিল ১১.৫ শতাংশ। তবে চাহিদা মাপার মূল সূচক ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন সরাসরি ০.৭% কমেছে মার্চে।
মানুষের বোঝা কমিয়ে ক্রেতার মূল্য সূচক অনুসারে হিসাব করা খুচরো মূল্যবৃদ্ধি এপ্রিলে নেমেছে ৪.৮৭ শতাংশে। রয়টার্সের সমীক্ষার থেকেও তা কম। ওই সমীক্ষায় ৪.৯০% মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছিল। মার্চের সংশোধিত সরকারি পরিসংখ্যান ৫.২৫%। আগের হিসাবে তা ছিল ৫.১৭%।