খদ্দের আছে। কিন্তু সঠিক বিপণন কৌশলের অভাবে বছর কয়েক আগে রান্নার গ্যাসের ছোট সিলিন্ডার বাজারে এনেও হালে পানি পায়নি তিন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা। এ বার চাহিদা মেপে ও সিলিন্ডারের জোগান বাড়িয়ে গ্রাহকের দরজায় পৌঁছতে কোমর বেঁধেছে তারা।
এর আগে মাত্র কয়েকটি পেট্রোল পাম্পে ৫ কেজির সিলিন্ডার বিক্রি শুরু করেছিল সংস্থাগুলি। ফলে কার্যত সেগুিল ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বিক্রেতাদের কমিশনও আকর্ষণীয় ছিল না। কিন্তু ব্যবসার সম্ভাবনা আঁচ করে এ বার বিপণন কৌশল ঢেলে সাজা হচ্ছে। বিক্রেতার কমিশন বেড়েছে। বাড়তি ক্রেতার কাছে সহজে পৌঁছতে ডিলার ছাড়াও সেগুলি বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি পাম্প ও সাধারণ দোকানে।
আইওসির দাবি, তারা মাসে গড়ে ১২ হাজারের বেশি খুদে সিলিন্ডার বেচছে। এইচপিসিএল-ও ব্যবসার সম্ভাবনা দেখে দোকানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। কিন্তু বড় সিলিন্ডার যখন সহজলভ্য কিংবা বৈদ্যুতিক ইন্ডাকশন স্টোভের মতো বিকল্প ব্যবস্থা যেখানে রয়েছে, তখন কেন খুদের এত চাহিদা?
কিনতে হলে
• ঠিকানার প্রমাণ লাগবে না, শুধু পরিচয়পত্র চাই
• সিকিওরিটি জিপোজিট নেই
• সংযোগ নেওয়ার সময়েই সিলিন্ডার, রেগুলেটর, গ্যাসের দাম দিতে হবে
• মিলবে ডিলার, পাম্প, দোকানে
• বাড়তি ২৫ টাকা দিলে বাড়িতে
• গ্যাস ফুরোলে নতুন কিনতে হবে ৫ কেজি গ্যাসের দাম দিয়ে
• সাধারণ সিলিন্ডারের বার্নারই ব্যবহার করা যাবে
• ছাড়তে চাইলে দোকানে ফেরত
• বিমার সুযোগ আছে
সংস্থাগুলির দাবি, বড় সিলিন্ডার নিতে ঠিকানার প্রমাণ লাগে। কিন্তু কর্মসূত্রে ভিন্ রাজ্যে থাকলে তাতে সমস্যা হয়। এ বার খুদে সিলিন্ডারের জন্য তা লাগবে না। আবার কাজ সেরে ফেরার পথে দোকান থেকে চট করে তা কিনে নেওয়াও সোজা। ছোট চায়ের বা খাবারের দোকানের পক্ষেও তার ব্যবহার সুবিধাজনক। কারণ, বৈদ্যুতিক স্টোভের ক্ষেত্রে দাম বা বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যাও থাকে। মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে খুদে সিলিন্ডারের চাহিদা যথেষ্ট, দাবি এই ব্যবসায় যুক্ত কনফিডেন্স গোষ্ঠীর।
এর থেকে বাড়তি আয়ের পথ দেখছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তুষার সেন। তবে রাজ্যে ইন্ডেন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসো -সিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিজনবিহারী বিশ্বাসের দাবি, একে বাস্তবায়িত করতে আরও প্রচার জরুরি।