গত বছরের নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে একটি ব্যাঙ্কে জমা পড়া প্রায় ১৬ কোটি টাকাকে বেনামি সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করল বিশেষ আদালত। কালো টাকা রুখতে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা সংশোধিত আইনে প্রথম দফায় ধরা পড়া হিসেব বহির্ভূত তহবিলের অন্যতম এই অর্থ।
আয়কর দফতর সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট আমানতকারী ‘গা ঢাকা’ দিয়েছেন। ডিমান্ড ড্রাফ্ট ইস্যু করে যাঁকে তিনি ওই টাকা দিতে চেয়েছিলেন, হদিস মেলেনি তাঁরও।
নোট নাকচের ঠিক পরেই কে জি মার্গে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের একটি শাখায় ১৫.৯৩ কোটি টাকা বাতিল ৫০০ ও ১০০০-এর নোটে জমা দেন পুরনো দিল্লির নয়া বাজার এলাকার গলি লালটেন এলাকার বাসিন্দা জনৈক রমেশ চাঁদ শর্মা। আয়কর দফতরের অভিযোগ, কালো টাকা ধরার অভিযানে ওই ব্যাঙ্কে অনুসন্ধান চালিয়ে তারা ধরতে পারে, তিনটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ওই টাকা বেনামি সম্পত্তি।
আয়কর দফতরের আরও অভিযোগ, তাদের জালে ধরা পড়ে যে, ওই টাকা জমা করার ঠিক পরেই তা সরিয়ে ফেলার জন্য কিছু ব্যক্তির নামে ডিমান্ড ড্রাফ্ট ইস্যু করা হয়। দফতরের পক্ষ থেকে ওই সব ডিমান্ড ড্রাফ্টের লেনদেনও স্থগিত করে সমস্ত তহবিল বাজেয়াপ্ত করে সেটিকে বেনামি তকমা দেওয়া হয়েছে। গত বছর চালু হওয়া বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ সংক্রান্ত সংশোধিত আইন রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা বিশেষ আদালতে এর পর বিষয়টি জানানো হয়। তারাও আয়কর দফতরের নির্দেশ বহাল রাখে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
বিশেষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের চেয়ারপার্সন মুকেশ কুমার ও আইন বিষয়ক সদস্য তুষার ভি শাহ রায়ে বলেছেন, ‘‘অনুসন্ধানের পরে হাতে আসা নথি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ১৫.৯৩ কোটা টাকা যে বেনামি সম্পত্তি, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। রমেশ চাঁদ শর্মা এ ক্ষেত্রে ‘বেনামিদার’। যাঁকে তিনি টাকা পাঠাতে চেয়েছিলেন, তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।’’ শর্মার খোঁজে অভিযানে নেমেছে আয়কর দফতর। তবে এ পর্যন্ত তিনি তদন্তকারী অফিসারের সামনে বা আদালতে হাজির হননি। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।