বছরে ৩০০ দিনই দেখা মেলে সূর্যের। বিকল্প বিদ্যুৎ তৈরিতে ভারতকে অনেকটাই এগিয়ে দিতে পারে সৌর বিদ্যুৎ। দূষণহীন বিদ্যুৎ উৎপাদনে তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাজি সৌরশক্তি।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ন্যাশনাল সোলার মিশনের আওতাতেই ভারতকে ১০০ কোটি ডলার (৬৮০০ কোটি টাকা) ঋণ দিতে চুক্তি করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। কোনও দেশে সৌর বিদ্যুৎ খাতে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় মাপের ঋণ। আর, বিশ্বব্যাঙ্কের এই সামগ্রিক ঋণ পরিকল্পনায় শনিবার সামিল হল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক।
বাড়ির ছাদে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানোর জন্য ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করতে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে এ দিন চুক্তি সই করল স্টেট ব্যাঙ্ক। এর সুবাদে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৬২.৫০ কোটি ডলার বা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবে তারা। এ দিন মুম্বইয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে তহবিল পাওয়ার সুবাদে তুলনামূলক ভাবে কম সুদে সৌর প্যানেল বসানোর জন্য তাঁরা ঋণ দিতে পারবেন বলে জানান স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত হল, প্লান্টের সঙ্গে গ্রিডের সংযোগ থাকতে হবে। ব্যক্তিগত বাড়ি ছাড়াও আবাসন এবং কারখানার ছাদে প্যানেল বসাতেও ওই প্রকল্পে ঋণ পাওয়া যাবে।
বাড়ির ছাদে সোলার ফোটোভোল্টিক ইনস্টলেশনের মাধ্যমে ৪০ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কেন্দ্র। স্টেট ব্যাঙ্কের উদ্যোগও এই বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে। স্টেট ব্যাঙ্কের প্রকল্প কার্যকর হলে ৪০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ তৈরি হবে বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের। এ জন্য সৌরশক্তি উৎপাদনে লগ্নিও বাড়বে বলে আশা তাঁদের।
চুক্তি সইয়ের পরে এ দেশে বিশ্বব্যাঙ্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর অন্নো রুলও তাঁর মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরেই বলেন, ‘‘ভারতে বছরে ৩০০ দিনই সূর্যের আলো থাকে। তাই এখানে সৌরশক্তি উৎপাদনের বিশাল সম্ভাবনা। তা বাড়লে মানুষের জীবনধারণের মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থানও।’’