শহরতলি, জেলায় হাসপাতালে লগ্নি রাজ্যের সংস্থার

চাহিদা বিপুল। সরবরাহ সামান্য। চিরাচরিত এই বাণিজ্যিক সমীকরণ মেনেই জেলা ও শহরতলিতে হাসপাতাল গ়ড়তে বিনিয়োগ করছে এ রাজ্যেরই সংস্থা ফিউচার স্পেশ্যালিটি মেডিকেয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০৩:১৬
Share:

চাহিদা বিপুল। সরবরাহ সামান্য। চিরাচরিত এই বাণিজ্যিক সমীকরণ মেনেই জেলা ও শহরতলিতে হাসপাতাল গ়ড়তে বিনিয়োগ করছে এ রাজ্যেরই সংস্থা ফিউচার স্পেশ্যালিটি মেডিকেয়ার।

Advertisement

সংস্থার ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রথম দফায় জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। ৬৫ কোটি টাকা লগ্নিতে তৈরি হচ্ছে ২৫০ শয্যার বড়মা সিরোনা হাসপাতাল। প্রথম ধাপে ৪০ কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে ১১২টি শয্যা। সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পেশায় চিকিৎসক শতদল সাহার দাবি, মূলত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য গড়া হয়েছে এই হাসপাতাল। তিনি বলেন, ‘‘সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এই চার জেলা থেকে রোগীদের কলকাতা ছাড়াও ওড়িশা ও দক্ষিণ ভারতে যেতে হয়। কারণ এখানে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে সব মিলিয়ে মাত্র ৬০০ শয্যা। যা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।’’

আর এই ফারাককে পুঁজি করেই অন্তত ২৫% কম খরচে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিষেবার মানের সঙ্গে আপস না-করে দামের এই সুবিধাই প্রকল্প সফল করার চাবিকাঠি বলে জানান সংস্থার আর এক কর্তা অভিনব মুন্সি। তাঁর দাবি, ৫-৭ বছরেই লাভের মুখ দেখবে হাসপাতাল।

Advertisement

পাঁশকুড়ার পরে গন্তব্য উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা। দমদম ও সোনারপুরে জায়গাও চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। আগামী চার বছরে সব মিলিয়ে ৫০০ শয্যা তৈরির পরিকল্পনা আছে বলে দাবি তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement