গরমের জন্য সাধারণত মার্চ থেকেই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তি করার প্রতিযোগিতা শুরু হয় রাজ্যগুলির মধ্যে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বিদ্যুতের দাম। কিন্তু এ বছর ছবিটা উল্টো। মার্চের শুরু থেকে দেশ জুড়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া তুলনামূলক ভাবে ঠান্ডা থাকায় অনেকটা নেমেছিল বিদ্যুতের চাহিদা। ফলে ওই মাসে ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জে (আইইএক্স) বিদ্যুতের গড় দাম ২২% নেমে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মার্চে এক্সচেঞ্জে ইউনিট পিছু বিদ্যুৎ ছিল ৩.১২ টাকা। যা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেকটা কম। অথচ ২০১৮ সালে এই সময়ে গরমের জন্য চাহিদা ছিল বেশি। ফলে বিদ্যুতের দামও ছিল চড়া। চাহিদা ও জোগানের নিরিখে প্রতি ইউনিট উঠেছিল ৪.০২ টাকায়। পশ্চিমবঙ্গের মতো অনেক রাজ্যকেই মার্চ থেকে চড়া দরে বিদ্যুৎ কিনতে হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত রাজ্য গত মাসে এক্সচেঞ্জ থেকে বিদ্যুৎ কিনেছে তারা অনেকটাই লাভবান হয়েছে। কম দামে বিদ্যুৎ কিনেছে ঋণের ভারে জর্জরিত বণ্টন সংস্থাগুলিও। ফলে তাদের কোষাগারে নগদের টানাটানিও কম হয়েছে।
হঠাৎ কেন দাম এতটা কমল? বিদ্যুৎ কর্তাদের বক্তব্য, আবহাওয়ার কারণে চাহিদা যেমন কম ছিল, তেমনই এক্সচেঞ্জে বিদ্যুতের জোগানও ছিল বেশি। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ওই মাসে ১৫% বিদ্যুৎ কম কেনা হয়েছে বলে এক্সচেঞ্জ সূত্রের খবর। ফলে দর অনেকটা কমে যায়।