বিপুল বকেয়ায় চটে লাল আখচাষি 

সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। যার অন্যতম রফতানিতে সুবিধা ও মজুত কমিয়ে চিনির দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা। যাতে চাষিদের দাম মেটাতে পারে চিনিকলগুলি।

Advertisement

নয়াদিল্লি ও মুম্বই

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্বে কাঠি পড়ার দিনেই ফের নতুন করে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াল সেই ‘গন্না’। পরিসংখ্যান জানাল, ৫ কোটি আখচাষিকে প্রায় ৩০,৩৩৫.৮৮ কোটি টাকা মেটাতে পারেনি চিনিকলগুলি। বকেয়ার অঙ্ক হিসেবে যা রেকর্ড। ওই সব চাষিরা বছর খানেক ধরে উৎপাদন চালিয়ে গেলেও ঝুলিতে আসেনি কানাকড়ি। ফলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। অভিযোগ তুলছেন, মোদী সরকার আখচাষিদের টাকা মেটানো নিয়ে কিছুই করেনি।

Advertisement

রাষ্ট্রীয় মজদুর সঙ্ঘের আহ্বায়ক এম ভি সিংহের দাবি, ‘‘২০১৪ ও ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী জনসমক্ষে কথা দিয়েছিলেন, আখ বিক্রির পরে ১৫ দিনের মধ্যে চিনিকলগুলিকে চাষিদের পাওনা মেটানোয় সাহায্য করবেন। অথচ এ ব্যাপারে নামমাত্র উদ্যোগই চোখে পড়েছে।’’ সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। যার অন্যতম রফতানিতে সুবিধা ও মজুত কমিয়ে চিনির দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা। যাতে চাষিদের দাম মেটাতে পারে চিনিকলগুলি।

তবে অনেকেই বলছেন, মন্দাসৌর থেকে মহারাষ্ট্রের লং মার্চ— গত পাঁচ বছরে দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভে নাস্তানাবুদ হয়েছে মোদী জমানা। আখচাষিদের রোজগারহীনতার ছবিটা ভোট শুরু হতে না হতেই সেই অস্বস্তি আরও বাড়াল। যে ছবি মূলত ছড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্ণাটকের মতো বৃহৎ আখ উৎপাদক রাজ্যগুলিতে। এবং লোকসভার ৫৪৫টি আসনের মধ্যে ১৬৪টি নির্বাচনী কেন্দ্রে, যেখানকার মূল ভোটার ওই চাষিরাই।

Advertisement

সরকারি সূত্র পদক্ষেপের কথা বললেও, চিনিকলগুলির দাবি, দেশে আখ উৎপাদন হচ্ছে বিপুল। চিনি তৈরির পরিমাণও পৌঁছেছে নজিরবিহীন উচ্চতায়। আর তাতেই দেশীয় বাজারে হুড়মুড়িয়ে পড়েছে তার দাম। ফলে মেটানো যাচ্ছে না চাষিদের বকেয়া।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন