ভারতীয় আইনের চোখে বিজয় মাল্য পলাতক। আইনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছেন তিনি। দেশে ফিরে আসার কোনও ইচ্ছেই তাঁর নেই। এক দিকে, এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে কিংগ্ফিশার কর্তাকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। অন্য দিকে, বিদেশে সম্পদের তথ্য গোপন রাখা নিয়ে মাল্যের আবেদনও এ দিন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বরং জানিয়েছে, মাল্যের সম্পত্তির তথ্য ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা।
বিচারপতি কুরিয়ন জোসেফ এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিদেশে মাল্যের সম্পদের তথ্য গোপন রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। সে জন্য মুখ-বন্ধ খামে মাল্যের প্রকাশ করা দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির কাছে জমা দিতে শীর্ষ আদালতের সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। পাশাপাশি, মাল্যের বকেয়া ঋণ আদায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের (ডিআরটি) কাছে আবেদন জানিয়েছিল ঋণদাতা ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম। আগামী দু’মাসের মধ্যে ডিআরটি-কে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। ব্যাঙ্কের হয়ে রোহতগির দাবি, বকেয়া ঋণ আদায় করতে প্রয়োজনে ব্রিটিশ সরকারের কাছেও মাল্যের সম্পত্তি বিক্রির আবেদন করবে ব্যাঙ্কগুলি।
এ দিন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মাল্যের কাজকর্মে কোনও ভাবেই দেশে ফেরা বা তদন্তে সাহায্য করার সদিচ্ছা প্রকাশ পায়নি। বরং তিনি ইচ্ছা করেই আদালতের কাছে কিছু লুকোতে চাইছেন। অন্য দিকে মাল্যের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, মাল্য ঋণখেলাপি ঠিকই। কিন্তু ইচ্ছা করে নয়, ব্যবসা মার খাওয়ার জেরেই ধার শোধ করতে পারেনি তিনি। এনমকী ঋণের টাকা মাল্য অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করেছেন বলে যে দাবি ইডি পেশ করেছে, তার পক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি আইনজীবীর। দু’পক্ষের এই বক্তব্য শোনার পরে মাল্যের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতিরা।