সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।
নাম করলেন না কারও। আঙুলও তুললেন না সরাসরি। তবে মঙ্গলবার চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যে ভাবে রক্ষণশীলতাকে ছুড়ে ফেলার সওয়াল করলেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত দিল্লি যেখানে সোমবারই বলেছে, ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে চড়া শুল্ক থেকে আমেরিকা ভারতকে রেহাই না দিলে, তারা ডব্লিউটিও-র দ্বারস্থ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংগঠন এসসিও-র বিদেশমন্ত্রীদের কমিটির বৈঠকে সুষমা এ দিন বাণিজ্যে দেওয়াল তোলার বিরুদ্ধে পথ তৈরির আর্জি জানান। ভারত, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া-সহ সংগঠনের আটটি দেশকে উদারনীতির প্রচার, সহজে বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি ও বিশ্ব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে লগ্নির ডাকও দেন। সুষমার কথায় ‘‘আর্থিক ও লগ্নি সংক্রান্ত জোট আরও পোক্ত করতে ভারত এসসিও-র সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে দায়বদ্ধ।’’
অনেকেরই প্রশ্ন, বেজিংয়ে দাঁড়িয়ে মার্কিন রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে সুষমার জোট বেঁধে জোঝার আর্জি কি তবে পড়শি চিনের পাশে থাকারই বার্তা? কারণ, মার্কিন শুল্কে বেশি ধাক্কা খেয়েছে চিনই। যাদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বেজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে শুল্কের আঁচ ততটা গায়ে লাগবে না জেনেও ফোঁস করছে ভারত। তবে শুল্কে দেওয়াল চিনেরও আছে। তাই তা ভাঙতে বলে সুষমা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইলেন কি না, জল্পনা তা নিয়েও।