ব্রিটেনে তাদের ইস্পাত ব্যবসা বিক্রির প্রচেষ্টা থেকে কার্যত সরে আসার কথাই জানিয়ে দিল টাটা স্টিল। ব্রেক্সিটের পরে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে, নতুন করে মন্দার কবলেও পড়তে পারে ব্রিটেন— এই আশঙ্কাই সংস্থার মত বদলের কারণ। শিল্পমহল সূত্রের ইঙ্গিত, নতুন পরিস্থিতিতে কর্মীদের পেনশনের দায় টাটাদের কতটা নিতে হবে, তা নিয়েই চিন্তিত তারা। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে যৌথ উদ্যোগ গড়া নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে সংস্থা। সে ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার হিসেবে যৌথ উদ্যোগে আনা হতে পারে জার্মানির ইস্পাত বহুজাতিক থাইসেনক্রুপকে, যদিও বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
টাটারা তাদের বিবৃতিতে ব্রিটেন-সহ ইউরোপের ব্যবসার জন্য যৌথ উদ্যোগ গড়তে থাইসেনক্রুপের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা জানিয়েওছে। তবে তা ইতিবাচক পরিণতির দিকে এগোয় কি না, তার উপরই নির্ভর করছে তারাই যৌথ উদ্যোগে সামিল হবে কি না। অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের মতামতের উপরও বিষয়টি নির্ভর করবে বলে জানিয়েছে টাটা স্টিল। তবে সংস্থার দাবি, ব্রিটেনের দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারে বিশেষ ধরনের ইস্পাত উৎপাদনের ব্যবসা ও হার্টলপুলে পাইপ তৈরির কারখানা আলাদা করে বিক্রি করবে তারা। বিশেষ ধরনের ইস্পাত উৎপাদনের কারখানাটি নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শিল্পপতির লিবার্টি হাউস গ্রুপ এখনও আগ্রহী বলেও জানিয়েছে।
এ দিকে, শনিবার থাইসেনক্রুপ টাটাদের সঙ্গে কথা শুরুর কথা কবুল করে জানিয়েছে ইউরোপের ইস্পাত-বাজারে উপস্থিতি আরও জোরালো করতে চায় তারা। বাড়তি উৎপাদন ক্ষমতা ও তলানিতে থাকা চাহিদার জেরে ঝিমিয়ে থাকা ইস্পাত শিল্পকে চাঙ্গাও করতে আগ্রহী সংস্থা। ব্রিটেনে টাটা স্টিলে আছেন ১১ হাজার কর্মী। পরোক্ষ ভাবে যুক্ত আরও ক’হাজার। সংস্থা কার হাতে থাকে, এখন তার উপর নির্ভর করছে তাঁদের ভবিষ্যৎও।