৪জি টাওয়ার গড়তে লগ্নি ৭২০০ কোটি, উঠছে প্রশ্নও

বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানিয়েছেন, মাস দেড়েকের মধ্যে তাঁরা কয়েকটি জায়গায় ৪জি পরিষেবা চালু করবেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশের টেলি শিল্পের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ৪জি পরিষেবা এনে এগিয়ে গিয়েছে কয়েক যোজন। অদূর ভবিষ্যতে ৫জি প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ জল্পনার পরে বুধবার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে ৪জি স্পেকট্রাম দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।

Advertisement

বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানিয়েছেন, মাস দেড়েকের মধ্যে তাঁরা কয়েকটি জায়গায় ৪জি পরিষেবা চালু করবেন। আর ১২-১৫ মাসের মধ্যে ৪জি পরিষেবার জন্য ৬০ হাজার টাওয়ার তৈরি করা হবে। লগ্নির অঙ্ক ৭,২০০ কোটি টাকা। টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশ এ দিন জানান, বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে এক মাসের মধ্যে ৪জি স্পেকট্রাম দেওয়া হবে। বিএসএনএলের ঋণ টেলিকম শিল্পে সর্বনিম্ন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লগ্নির অর্থ জোগাড় করতে সংস্থাটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারে।’’

ইতিমধ্যেই বিএসএনএলের বিভিন্ন সার্কলে ৪জি সিম এলেও স্পেকট্রামের অভাবে সেই পরিষেবা চালু করা যায়নি। তবে কেরল, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকা এবং গ্যাংটকে ৩জি স্পেকট্রাম দিয়ে সীমিত ভাবে ওই পরিষেবা চালু করেছে তারা। তবে অনেকের বক্তব্য, এত দেরিতে শুরু করে ৪জি পরিষেবায় সংস্থা দু’টি প্রতিযোগীদের সঙ্গে কতটা পাল্লা দিতে পারে সেটাই এখন দেখার। তবে ওই পরিষেবার জন্য টাওয়ার ও অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ার কাজ কিছুটা এগিয়ে রেখেছিল সংস্থাটি। যাতে স্পেকট্রাম মিললেই তা চালু করা যায়।

Advertisement

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সদর্থক দাবি করে কলকাতা সার্কলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১০০টি ৪জি টাওয়ার তৈরির কাজ চলছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) পি সি প্রামাণিক জানান, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোল, বর্ধমান, কৃষ্ণনগরের মতো বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ১৬০০ ৪জি টাওয়ারের হার্ডওয়্যারের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্বে। এর মধ্যে শিলিগুড়িতে ১৯০টি টাওয়ার প্রায় তৈরি। স্পেকট্রাম মিললে দ্রুত ৪জি পরিষেবা চালু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন