ইস্, ভুল হয়ে গেল শুধু সময় বাছতেই

চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাচ্ছে। তারও ছাপ পড়েছে বাজারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৭
Share:

হাসমুখ আঢিয়া।

কর বসানো নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। বাজেটে শেয়ার লেনদেনে দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভে কর বসানোর পর থেকে শেয়ার বাজার পড়লেও, কেন্দ্র মনে করে তা সঠিক সিদ্ধান্ত। এমনকী সোমবারও অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়ার দাবি, বিশ্ব বাজারের পতনই ভারতের বাজারকে টেনে নামানোর কারণ। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘ঘোষণাটা ভুল সময়ে হয়ে গেল, এটাই দুর্ভাগ্যজনক।’’

Advertisement

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেটে শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভে ১০% কর বসিয়েছেন। তার পর থেকেই বাজার পড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদেরও মত, এমনিতেই বিশ্ব বাজারে পতনের ধাক্কা ভারতে লাগত। তাতে আরও রসদ জুগিয়েছে বাজেটের ওই ঘোষণা। চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাচ্ছে। তারও ছাপ পড়েছে বাজারে। ইকুইটি ফান্ডে ডিভিডেন্ড বণ্টনকে করের আওতায় আনার ফলেও ভুল বার্তা গিয়েছে। এই কর বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিল্পও।

পাশাপাশি বহাল রয়েছে শেয়ার লেনদেনে করও (সিকিউরিটিজ ট্রানজাকশন ট্যাক্স)। এ দিন বাজেট নিয়ে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘আমরা দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভে কর বসায় অবাক হইনি। কিন্তু এই কর এবং শেয়ার কেনাবেচায় কর কী ভাবে একই সঙ্গে চলতে পারে?’’ কর বসানোয় আপত্তি না থাকার কথা জানিয়েছে ফিকিও। কিন্তু অনেকেই বলছেন, বাজেটে মূলধনী লাভ কর বসল ঠিক এমন সময়ে, যখন বিশ্ব বাজারে পতনের ধাক্কা তার গায়ে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোম্পানি কর ফাঁকি রুখতে কড়া কেন্দ্র

ঠিক সেই আক্ষেপই করেছেন আঢিয়া। কিন্তু তাতেও অনেকের প্রশ্ন, আমেরিকা, এশিয়া-সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে দ্রুত বন্ডের রিটার্ন যে বাড়ার মুখ নিতে পারে, তা কেন আগাম আঁচ করতে পারল না কেন্দ্র? তাঁদের যুক্তি, মূলত মার্কিন অর্থনীতির হাল কিছুটা ফেরার পরিসংখ্যানেই বাড়ছে সে দেশে বন্ডের রিটার্ন। যা বাজার থেকে অনেক লগ্নিকারীর মুখ ফেরানোর অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আক্ষেপ, এ তো হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা নয়। তবে কেন্দ্র আঁচ পাবে না কেন! অপর পক্ষ অবশ্য মনে করে, এ ভাবে যে বাজারের মুখ ঘুরে যাবে তা আগাম আঁচ করা বেশ শক্ত।

অঢিয়ার আরও দাবি, এখনও শেয়ার লেনদেনে কার্যত ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কারণ স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি থেকে লাভে ২০% কর বসে। এত দিন এক বছরের মধ্যে শেয়ার বেচে মূলধনী লাভে ১৫% কর বসত। কিন্তু তার পরে বেচলে কর দিতে হত না। এ বার সেখানেই ১০% কর বসিয়েছেন জেটলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন