বাড়ি, রাস্তা তৈরি ও বিভিন্ন ধরনের নির্মাণকাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে সিমেন্টের চাহিদা বাড়বে। এই দাবি করে ইমামি সিমেন্ট জানিয়েছে, এ বছরের মধ্যেই রাজ্যের পানাগড় কারখানার মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৮০% কাজে লাগাতে পারবেন তাঁরা। ফেব্রুয়ারিতে চালু ওই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার ৪০% এখন ব্যবহার করছে সংস্থা।
সংস্থার পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর তথা সিইও বিবেক চাওলা সম্প্রতি জানান, সাধারণ ভাবে সিমেন্ট কারখানার মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৮০% ব্যবহার করাই এই শিল্পের দস্তুর। তাঁদের রায়পুর কারখানা ইতিমধ্যেই সেই সীমা অর্জন করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেই জায়গায় পৌঁছবে পানাগড়ও।
২০১৬-র জুলাইয়ে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে চুনাপাথর থেকে কাঁচামাল তৈরির ব্যবস্থা-সহ সিমেন্ট কারখানা চালু করে ইমামি। এরপর ওই কাঁচামাল ব্যবহার করে চালু হয় পানাগড়ের কারখানা। আগামী মার্চে ওড়িশাতেও আর একটি কারখানা চালু করবে তারা। প্রতিটি কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২০ লক্ষ টন। সব কারখানা মিলিয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লগ্নির মধ্যে ৩৪০০ কোটি ইতিমধ্যেই ঢালা হয়েছে। ২০১৭-’১৮ সালে এই ব্যবসায় প্রায় ১৫০০ কোটি আয় ছাড়াও লাভের মুখ দেখার ব্যাপারে আশাবাদী সংস্থা-কর্তারা।