Tea Auction

চায়ের নিলামে ফিরল হাতুড়ির শব্দ

সাধারণ ভাবে চায়ের পাইকারি নিলামেরই পক্ষে কেন্দ্র, টি বোর্ড ও শিল্প মহল। কিন্তু এখনও দেশে উৎপাদিত চায়ের ৪০% নিলাম হয়। বাকিটা সরাসরি ক্রেতাকে বিক্রি করে বাগানগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কম্পিউটার এবং মাউস দিয়ে নয়। ১২ বছর পরে ফের কলকাতার চা নিলাম কেন্দ্রের দু’নম্বর ঘরে অর্থোডক্স চায়ের নিলাম পরিচালনা হচ্ছে হাতুড়ি ব্যবহার করে। এক একটি নির্দিষ্ট ‘লট’-এর প্রতি কেজি চায়ের ন্যূনতম দর হাঁকছেন অন্যতম নিলামকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তা গৌরব ঘোষ। উল্টো দিকে বসা ৩০ জন বিক্রেতার অনেকে সেই দরের উপরে নিজেদের দর হাঁকছেন। সর্বোচ্চ দর স্থির হলে টেবলে হাতুড়ির ঘা মেরে তাতে সিলমোহর দিচ্ছেন গৌরববাবু। সম্প্রতি তৈরি হওয়া নিলামকারী সংস্থাগুলির সংগঠন দি অ্যাসোসিয়েশন অব টি অকশনিয়র্সের (এটিএ) হাত ধরে শুক্রবার এ ভাবেই স্মৃতিমেদুর হল চা শিল্প মহল।

Advertisement

সাধারণ ভাবে চায়ের পাইকারি নিলামেরই পক্ষে কেন্দ্র, টি বোর্ড ও শিল্প মহল। কিন্তু এখনও দেশে উৎপাদিত চায়ের ৪০% নিলাম হয়। বাকিটা সরাসরি ক্রেতাকে বিক্রি করে বাগানগুলি। নিলামে চায়ের দাম সে ভাবে ওঠে না বলেও শিল্পের একাংশের দাবি। তাই এই ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উপায় খোঁজার পাশাপাশি, নিজেদের নানা সমস্যা তুলে ধরতে ওই মঞ্চ গড়েছে নিলামকারী সংস্থাগুলি। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন বিশেষ নিলামের আয়োজন করেছিল এটিএ। যেখানে চারটি নিলাম সংস্থা মোট ৩.৬৯ লক্ষ কেজি চা পুরনো পদ্ধতিতে বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন