এসার অয়েলের মালিকানা কেনার কথা গত অক্টোবরেই ঘোষণা করেছিল রাশিয়ার সরকারি তেল সংস্থা রোজনেফ্ট। তাদের আশা ছিল, মার্চের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। কিন্তু এসারের ঋণদাতা ২৮টি ব্যাঙ্কের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক এখনও এই চুক্তিতে সায় না-দেওয়ায় তা শেষ হতে এপ্রিল গড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্রের খবর, কয়েকটি ব্যাঙ্ক একই সঙ্গে এসার অয়েল এবং এসার গ্লোবালকে ঋণ দিয়েছিল। এখন এসার অয়েল বিক্রির আলোচনায়, এসার গ্লোবালের ঋণও প্রভাব ফেলছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সংস্থাগুলিও। সম্প্রতি এই প্রক্রিয়ায় ঋণদাতা রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক ভিটিবি জানিয়েছে, এই সপ্তাহে অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ হওয়ার আশা থাকলেও, এই সংক্রান্ত লেনদেন শেষ হতে আরও ১৯ দিন সময় লাগবে। শুক্রবার আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগার কথা জানিয়েছে এসারও।
উল্লেখ্য চুক্তি অনুসারে, এসার অয়েলের ৪৯% অংশীদারি কেনার কথা রোজনেফ্টের। আর ৪৯% শেয়ার হাতে নেবে পণ্য বাজারে লেনদেনকারী সংস্থা ট্রাফিগুরা এবং রাশিয়ার লগ্নি তহবিল ইউসিপি-র কনসোর্টিয়াম কেসানি এন্টারপ্রাইজেস কোম্পানি। শেয়ার বাজার থেকে সংস্থার নাম তুলে নেওয়ার পরে বাকি ২% যাবে এসার গোষ্ঠীর হাতে।
এই লেনদেনের জন্য ট্রাফিগুরাকে অর্থ জোগাবে রাশিয়ার ভিটিবি ব্যাঙ্ক। সংস্থাগুলি ঢালবে নগদ ৭২,৮০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, আরও ১৩,৩০০ কোটিতে গুজরাতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি তেল সংস্থাটির ভাদিনার বন্দর প্রকল্পও কিনছে তারা। সব মিলিয়ে লগ্নি ৮৬,১০০ কোটি টাকা। যা এখনও পর্যন্ত ভারতে আসা বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ।
এর আগে চুক্তির সময় এসার জানিয়েছিল, অংশীদারি বিক্রি করে হাতে আসা অর্থের বেশিরভাগটাই ঋণ শোধে ব্যবহার করা হবে। যার সাহায্যে ৮৮,০০০ কোটি টাকার ঋণ অর্ধেক কমবে বলে আশা সংস্থার। আর বাকি টাকা ঢালা হবে তাদের অন্যান্য ব্যবসায়।