Nabanna

জমি, বাড়ির নথিভুক্তি বৃদ্ধি বিএসকে-তে

প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, প্রত্যন্ত এলাকায় এ জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় পর্যন্ত যেতে অনেকেই ততটা আগ্রহী হন না। দালালদের দৌরাত্ম্য থাকায় অতিরিক্ত খরচের আশঙ্কাও থাকে ক্রেতামহলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৭
Share:

নবান্ন। —ফাইল চিত্র।

বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের (বিএসকে) মাধ্যমেও জমি, বাড়ি-সহ সম্পত্তি নথিভুক্তির (রেজিস্ট্রেশন) পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, তাতে আগ্রহ বাড়ছে ক্রেতাদের। এর ফলে রাজ্যের আয় বৃদ্ধির পথও তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

যে কোনও সম্পত্তি কেনাবেচার পরে সেটির নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। এ জন্য সম্পত্তির মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ অর্থ ক্রেতাকে জমা দিতে হয় সরকারের কাছে। ফলে এটি সরকারের আয়েরও অন্যতম পথ।

প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, প্রত্যন্ত এলাকায় এ জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় পর্যন্ত যেতে অনেকেই ততটা আগ্রহী হন না। দালালদের দৌরাত্ম্য থাকায় অতিরিক্ত খরচের আশঙ্কাও থাকে ক্রেতামহলে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প রেভিনিউ বিভাগ যুক্ত হওয়ায় সেখানে আবদেনপত্র জমা করা, ‘অ্যাসেসমেন্ট স্লিপ’ বার করে স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন খরচ জমা দেওয়ার পরিষেবাও মিলছে। সেখানে দালালেরা না থাকায় অতিরিক্ত খরচের বোঝাও চাপছে না উপভোক্তার উপরে।

Advertisement

সরকারের হিসাবে, গত জানুয়ারি থেকে বিএসকে-র মাধ্যমে প্রায় ১২,০০০ সম্পত্তির নথিভুক্তি হয়েছে। সেখানেই ৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা পড়েছে সরকারের ঘরে। এখন কোনও উপভোক্তা পুরনো দলিলের তথ্য জানতে চাইলে (সার্চিং) সেটাও এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে করা যাবে বলে জানাচ্ছে অর্থ দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন